ওপেনিংয়ে নেমে ভরসার রেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। চাপের মুখে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি। মিরাজের পর আরেকটি সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। চারে নেমে তিনিও তুলে নেন সেঞ্চুরি।

ইনিংসের ৪২.৪তম ওভারে ১০১ বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন শান্ত। শান্তর ক্যারিয়ারেও এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। শতক ছুঁয়ে নিজের সন্তানকে তা উৎসর্গ করেন শান্ত। অবশ্য সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকলেন না। আউট হয়ে গেলেন ১০৪ রানে। মিরাজও ১১২ রানে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন।

একের পর এক ব্যর্থতায় ওপেনিং নিয়ে চরম দুশ্চিন্তা। এমন পরিস্থিতিতে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে অন্যরকম বাজি ধরলেন সাকিব আল হাসান। ওপেনিংয়ের হতাশা কাটাতে নাঈম শেখের সঙ্গে নামিয়ে দিলেন মিরাজকে। বারবার সামর্থ্যের প্রমাণ দেওয়া মিরাজ হতাশ করেননি। বরং দলের খারাপ সময়ে নির্ভার থেকে ভাসলেন সেঞ্চুরির উচ্ছ্বাসে।

আজ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ। ইনিংসের ৪০.৪ ওভারে নাইবের বলে সিঙ্গেল নিয়ে তিন অঙ্কের ঘরে যান এই অলরাউন্ডার। ৬৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করা মিরাজের পরের পঞ্চাশ তুলতে লেগেছে ৫০ বল। এটি তার ক্যারিয়েরর দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি।

লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি টস জিতে আজও ব্যাটিং নেমে ইনিংসের শুরুতেই মিরাজ ও নাঈম খেলেন আগ্রাসী ইনিংস। দলীয় ৫ ওভারেই স্কোরবোর্ডে তোলেন ৩৩ রান। ওপেনিং জুটি গিয়ে থামে দলীয় ৬০ রানে। নাঈমকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মুজিবুর রহমান। দশম ওভারে মুজিবের গুগলিতে লাইন মিস করে ফেলেন নাঈম। বল গিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। ৩২ বলে ২৮ রান করে ফেরেন নাঈম। যা তাঁর ৬ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা।

নাঈম ফেরার পর ওয়ানডাউনে নামানো হয় তাওহিদ হৃদয়কে। গত ম্যাচে ফ্লপ হওয়া হৃদয় আজও হলেন ব্যর্থ। ১১তম ওভারে গুলবদিন নাঈবের বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হৃদয় (০)। তাঁকে ফেরানো ক্যাচটি ছিল দুর্দান্ত। অনেকটা ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচটি নিয়েছেন হাশমতউল্লাহ শহীদি।

দলীয় ৬২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করে মিরাজ ও শান্তর জুটি। ওপেনিংয়ে নামা মিরাজ হয়ে ওঠেন ভরসার ঢাল। শুরু থেকে নির্ভার থেকে ৬৫ বলে স্পর্শ করেন হাফসেঞ্চুরি। এরপর শান্তকে নিয়ে ছুটতে থাকেন মিরাজ। তুলে নেন স্বস্তির নিজের সেঞ্চুরি। তারপর শান্তও পান শতকের দেখা।