বোলিংয়ের শুরুটাও নড়বড়ে বাংলাদেশের
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে চরম হতাশা করেছে বাংলাদেশ। গড়তে পারেনি শক্ত পুঁজি। গুঁটিয়ে গেছে মাত্র ১৯৩ রানে। এই রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান যখন ব্যাট করছে তখন দেখা দিল ফ্লাডলাইট জটিলতা। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের একটি ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ম্যাচ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। পরে জটিলতা কাটিয়ে আবারও মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।
লাহোরে রান তাড়ায় সাবধানী শুরু করেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশি বোলাররা সেই অর্থে পরীক্ষায় ফেলতে পারছে না স্বাগতিকদের।
এর আগে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে মাত্র ৩৮.৪ ওভার টিকতে পেরেছে বাংলাদেশ। এই সময়ে সাকিব ও মুশফিকের হাফসেঞ্চুরিতে কোনোমতে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে লাল-সবুজের দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন মুশফিকুর রহিম।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। কিন্তু, অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে মাঠে ফলাতে পারেননি দুই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম শেখ। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মিরাজ গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে ফেরেন নাসিম শাহর বলে। শুরুতেই মিরাজকে হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ নাঈম শেখ, লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়রা।
৪৭ রানে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশের ইনিংস মেরামত করেন সাকিব-মুশফিক মিলে। পাকিস্তানি বোলারদের সামাল দিয়ে ধীরেসুস্থে এগিয়ে যেতে থাকেন তারা। ১০০ রানের জুটি গড়েন দুজনে। জুটি ভাঙেন ফাহিম আশরাফ। দলীয় ১৪৭ রানে ব্যক্তিগত ৫৩ রানে সাকিবকে ফিরিয়ে দেন। অধিনায়ক ফেরার পর উইকেটে বড় ভরসা মুশফিকও টিকে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। হারিস রউফের বলে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৬৪ রানে ফেরেন মুশফিক। ৮৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস।
লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররাও দ্রুত গুটিয়ে যান পাকিস্তানের বোলিং দাপটে। শেষ পর্যন্ত ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের পক্ষে মাত্র ১৯ রান খরচায় সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন রউফ। নাসিম নেন তিন উইকেট। আফ্রিদির শিকার একটি।