হতাশার ব্যাটিংয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ
আগে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কাকে ২৫৭ রানে থামিয়েছে বাংলাদেশ। এই রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে বেশ সাবধানী শুরু করেছে সাকিব আল হাসানের দল। ওপেনিংয়ে দেশেশুনে খেলেন মোহাম্মদ নাঈম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। রানের গতি মন্থর হলেও দুজন এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। তবে, থিতু হয়ে যাওয়া এই জুটি ভেঙে স্বস্তিতে ফিরেছে শ্রীলঙ্কা। ২৮ রান করা মিরাজকে বিদায় করে ৫৫ রানের জুটি ভাঙেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। এরপর বিদায় নেন নাঈমও। অধিনায়ক সাকিব ও লিটন দাস উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি।
মাঝে চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন মুশফিক। তার প্রতিরোধ ভেঙেছেন লঙ্কান অধিনায়ক। দ্রুত ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। সেই চাপ সামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ তাওহিদ। তিনি ৮২ রান করে ফিরলেও হারের দুয়ারে বাংলাদেশ।
এর আগে আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সুপার ফোরের ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ বলে ৯৪ রান করেছেন সামারাবিক্রমা।
কলম্বোতে এদিন টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ইনিংসের প্রথম বলেই অধিনায়কের সিদ্ধান্তের সার্থকতা প্রমাণ করতে পারতেন তাসকিন আহমেদ। তার দুর্দান্ত ইনসুইঙ্গার লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ব্যাট-প্যাড ছুঁয়ে লেগ স্ট্যাম্পের একটু ওপর দিয়ে চলে যায়। প্রথম ওভারে দুটি বাউন্ডারি আসলেও তাসকিন বেশ পরীক্ষা নেন নিশাঙ্কার।
এরপর দুই ওপেনার নিশাঙ্কা ও দিমুথ করুনারত্নের আগ্রাসী ঢংয়ের ব্যাটিংয়ে বাধা দেন হাসান মাহমুদ। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে হাসানের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন করুনারত্নে। ১৭ বলে তিন চারে ১৮ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। বাংলাদেশ পায় ম্যাচের প্রথম সাফল্য।
এরপর দাঁড়িয়ে যায় শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় জুটিও। দ্বিতীয় জুটিতে কুশল মেন্ডিস ও নিশাঙ্কা মিলে গড়েন ৭৪ রানের জুটি। ২৩.২তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন শরিফুল। ওপেনিংয়ে নামা নিশাঙ্কাকে ৪০ রানে এলবির ফাঁদে ফেলেন এই পেসার। এরপর বিদায় করেন মেন্ডিসকেও। তবে ফেরার আগেই হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন মেন্ডিস।
তিন উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আরও দুটি উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। পাঁচে নামা আসালাঙ্কাকে টিকতে দেননি তাসকিন আহমেদ আর ছয়ে নামা ডি সিলভাকে ফেরান হাসান মাহমুদ।
৫ উইকেটের হারানোর পর আরেকটি দারুণ জুটি পায় শ্রীলঙ্কা। ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক দাসুন শানাকা ও সামারাবিক্রমার মিলে উপহার দেন ৬০ রানের জুটি। মাথা ব্যথার কারণ হয়ে ওঠা এই জুটিও ভাঙেন হাসান। ফিরিয়ে দেন লঙ্কান অধিনায়ক শানাকাকে।
ইনিংসের ৪৭তম ওভারে হাসানের ফুললেংথের বলে আগে থেকেই স্কুপ করতে তৈরি থাকা হন বোল্ড। ৩২ বলে করেছেন ২৪ রান করে বিদায় স্বাগতিক অধিনায়ক। তিনি ফেরার পর শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ৯৪ রান তুলে মাঠ ছাড়েন সামারাবিক্রমা।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে ৫৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। ৬২ রান দিয়ে তাসকিন আহমেদও নেন তিন উইকেট। শরিফুল দুই উইকেট নিতে দিয়েছেন ৪৮রান।