ব্যাট হাতে কবে পরিপূর্ণ হবে বাংলাদেশ?
এশিয়া কাপে খেলতে যাওয়ার আগে গোটা বাংলাদেশ যেন আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান ছিল। কোচ, অধিনায়ক, খেলোয়াড়— সবার মুখেই ছিল ভালো কিছু করার প্রত্যয়। কিন্তু, আসর শুরু হতেই মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখা শুরু করেন সাকিব আল হাসানরা। চার ম্যাচের মধ্যে এক আফগানিস্তান ম্যাচ ছাড়া সবগুলোতেই ব্যাটিংয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থ বাংলাদেশ। আসর থেকে বিদায় এক প্রকার নিশ্চিত, যার অন্যতম প্রধান কারণ ব্যাট হাতে দৈন্যতা।
গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ১৬৪ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। ক্রিজে টিকতে পেরেছিল মাত্র ৪২.৪ ওভার। ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল কিসের যেন তাড়াহুড়ো। বাংলাদেশের দেওয়া মামুলি লক্ষ্য অনায়াসে টপকে যায় লঙ্কানরা।
লঙ্কানদের বিপক্ষে হারে শঙ্কা জাগে আসরে টিকে থাকা নিয়ে। আফগানিস্তান ম্যাচে সব শঙ্কা বাংলাদেশ উড়িয়ে দেয় জোড়া সেঞ্চুরিতে। ওপেনিংয়ে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ তুলে নেন সেঞ্চুরি। মিরাজের সঙ্গে শতক হাঁকান নাজমুল হোসেন শান্তও। দুইয়ের ব্যাটে ভর দিয়ে ৩৩৪ রান করে বাংলাদেশ। সেই একটি ম্যাচেই বাংলাদেশ কেবল দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়েছিল।
গ্রুপ পর্ব শেষ করে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় পাকিস্তানের। পাকিস্তানের ব্যাটিং পিচেও বাংলাদেশ দল রীতিমতো ধুঁকেছে। পাকিস্তানের বিশ্বসেরা পেস আক্রমণের সামনে মাত্র ৩৮.৪ ওভার টিকতে পারেন সাকিব-মুশফিকরা। কোনোমতে ১৯৩ রান সংগ্রহ করেন। যা হেসেখেলেই পার হয় পাকিস্তান।
বাবর আজমদের কাছে সাত উইকেটে হারের পর শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য হয়ে ওঠে বাঁচা-মরার। হারলেই বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। এমন সমীকরণের ম্যাচে লঙ্কানদের বেধে দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্যটাই যেন পাহাড়সম হয়ে ওঠে বাংলাদেশি ব্যাটারদের জন্য। এক তাওহিদ হৃদয় ছাড়া ক্রিজে রান পেতে যুদ্ধই করেছেন ব্যাটাররা। ৯৭ বলে ৮২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন স্রোতের বিপরীতে।
ক্রিকেট দলীয় খেলা। দুই একজনের পারফরম্যান্সে জয় পাওয়া হয়ে ওঠে না সবসময়। আর যদি হয় এশিয়া কাপের মতো বড় আসর, সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে সম্মিলিতভাবে। নইলে পরিণতি কী হতে পারে, তা তো বাংলাদেশ দলের চোখের সামনেই।