শেষ মিনিটের গোলে ব্রাজিলের জয়ের হাসি
বলিভিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় দিয়েই ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের শুরু করে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখল সেলেসাওরা। এবার পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) লিমায় মুখোমুখি হয় ব্রাজিল ও স্বাগতিক পেরু। তাদের মাটিতে একের পর এক গোল করলেও অফসাইডের খড়গে সেগুলো বাতিল হলে আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। তবে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ব্রাজিল। ম্যাচের শেষ মিনিটে নেইমারের অ্যাসিস্টে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন মারকুইনহোস।
ম্যাচের শুরু থেকেই পাল্টাপাল্টি আক্রমণে খেলা জমে ওঠে। সেখানে কিছুটা এগিয়েই ছিল ব্রাজিল। তবে বারবার অফসাইডের ফাঁদে পড়ে গোলশূন্য থাকতে হয়েছে ব্রাজিলকে। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে প্রথম সফলতা পায় ব্রাজিল। যদিও অফসাইডের কারণে রাফিনহার গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
এরপর ম্যাচের ২৮তম মিনিটে ব্রুনো গুইমারেস পাস থেকে পেরুর ডি-বক্সের মধ্যে দারুণ পজিশনে বল পান রিচার্লিসন। সফলভাবে হেড দেন ব্রাজিলের স্ট্রাইকার। তবে এই গোলটিও বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। টানা দুটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হলেও আক্রমণের ধাড় কমায়নি সেলেসাওরা।
৪৫ মিনিটে রাফিনহার কাছ থেকে বল নিয়ে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে আড়াআড়ি শট নিয়েছিলেন নেইমার। দারুণ দক্ষতায় তার শট ঠেকিয়ে দেন পেরুর গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। যদিও কোনোমতেই গোলের দেখা পাচ্ছিল না সেলেসাওরা। তবে ম্যাচের ৯০তম মিনিটে সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ব্রাজিলকে জয়ের আনন্দে ভাসান মারকুইনহোস। নেইমারের ইনসুইং কর্নার থেকে মারকুইনহোসের হেডে করা গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেলেসাওরা।
ব্রাজিলের বিপক্ষে এর আগে সর্বশেষ আট ম্যাচের সাতটিতেই হেরেছে পেরু। পুরো ম্যাচে ৬২ শতাংশ বল দখলে নিয়ে নয় শট মেরে চারটি লক্ষ্যে রাখতে পারে ব্রাজিল। অন্যদিকে ৩৮ শতাংশ বল দখলে রাখা পেরু ছয় শট নিলেও কোনটিই লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।