ফাইনালে উঠতে শ্রীলঙ্কাকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল পাকিস্তান
জিতলেই ফাইনাল, আর হারলেই বাদ; এমন সমীকরণকে মাথায় রেখে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে লড়ছে দুই আয়োজক শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সবার আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে নাম লিখেছে ভারত। ফলে এই ম্যাচটি অলিখিত সেমিফাইনাল হিসেবে রূপ নিয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল পাকিস্তান।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৫২ রান তোলে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন পাথিরানা।
বৃষ্টির বাধায় সঠিক সময়ে হয়নি টস। পরবর্তীতে খেলা নামিয়ে আনা হয় ৪৫ ওভারে। যেখানে শুরুটা ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান। দলীয় ৯ রানের মাথায় প্রমোদ মাধুশানে বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ফখর জামান। ১১ বল খেলে মাত্র ৪ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
এরপর অবশ্য দারুণ একটি জুটি গড়েন অধিনায়ক বাবর আজম ও আবদুল্লাহ শফিক। এই দুইজনের ৬৪ রানের জুটিতে ভর করে ভালোই এগোচ্ছিল পাকিস্তান। তবে দলীয় ৭৩ রানের মাথায় ফের ছন্দপতন। এবার দুনিথ ভাল্লালাগের বলে আউট হন বাবর। ৩৫ বলে ২৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর দ্রুতই শফিক ও হারিসের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। তবে দলীয় ২৮তম ওভারের সময় ফের বৃষ্টির কারণে প্রায় ৪০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে।
যার ফলে ফের ওভার কমিয়ে আনা হয়। এবার ৪২ ওভারে নেমে আসে ম্যাচ। শেষদিকে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার আহমেদের ব্যাটে ভর করে ৭ উইকেটে ২৫২ রানে থামে পাকিস্তান।
বৃষ্টিতে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে কপাল খুলে যাবে শ্রীলঙ্কার। রানরেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে ফাইনালে খেলবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। দুই ম্যাচ শেষে লঙ্কানদের রান রেট -০.২০০ এবং পাকিস্তানের রান রেট -১.৮৯২। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে যথারীতি বৃষ্টির বাগড়া থাকছে। সব মিলিয়ে দিবারাত্রির এই ম্যাচটিতে ৯৩ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সুপার ফোরে দুই ম্যাচে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ইতোমধ্যে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ভারত। দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পরের দু’টি স্থানে আছে যথাক্রমে- শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। দুই খেলায় জয়হীন বাংলাদেশ খালি হাতে টেবিলের তলানিতে থেকে ফাইনালের দৌড় থেকে ইতোমধ্যে বিদায় নিয়েছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ৪২ ওভারে ২৫২/৭ (শফিক ৫২, ফখর ৪, বাবর ২৯, রিজওয়ান ৮৬*, হারিস ৩, নেওয়াজ ১২, ইফতিখার ৪৭, শাদাব ৩, আফ্রিদি ১; মাধুশান ৭-১-৫৮-২, থিকসানা ৯-০-৪২-১, শানাকা ৩-০-১৮-০, ভেল্লালাগে ৯-০-৪০-১, পাথিরানা ৮-০-৬৫-৩, সিলভা ৬-০-২৮-০)