নিউজিল্যান্ডের পেস তাণ্ডবে অল্পতে থামল বাংলাদেশ
বিশ্বকাপ অভিযানে রওনা দেওয়ার আগে দেশের মাঠে শেষ ম্যাচটা খেলছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিতে দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপে যাওয়ার সুযোগ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যদের সামনে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার হলেও সমতায় ফিরতে মরিয়া স্বাগতিকরা। তবে, পেস তাণ্ডবে নিউজিল্যান্ডকে সহজ লক্ষ্য দিয়ে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ।
আজ শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৭১ রান তোলে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
নিয়মিত দুই ওপেনার লিটন দাস ও তামিম ইকবালের না থাকায় এই ম্যাচে তানজিদ তামিম ও জাকির হাসানকে দিয়ে শুরু করায় বাংলাদেশ। তবে, দুজনই ব্যর্থ আস্থার প্রতিদান দিতে। দলীয় ছয় রানের মাথায় কিউই পেসার অ্যাডাম মিলনের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে ফেরেন অভিষিক্ত জাকির। পাঁচ বলে মাত্র এক রান আসে তার ব্যাট থেকে। জাকিরের বিদায়ের পর আরেক ওপেনার তানজিদ তামিমও বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। দলীয় আট রানের মাথায় ট্রেন্ট বোল্টের ফুল লেন্থ ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে অ্যালেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। পাঁচ বলে পাঁচ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে শুরুর চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও সফল হননি হৃদয়ও। দলীয় ৩৫ রানের সময় মিলনের বলে কাভারের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে ইয়ংয়ের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এ সময়ে তিনি ১৭ বলে ১৮ রান করেন।
দ্রুতই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন শান্ত-মুশফিক জুটি। এই দুইজনের ৫৩ রানের জুটি বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। তবে ফের ছন্দপতন। দলীয় ৮৮ রানে অভিজ্ঞ মুশফিক দুর্ভাগ্যজনক এক আউটে বিদায় নেন। তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ১৮ রান।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ফের জুটি গড়েন শান্ত। দলীয় ১৩৭ রানের মাথায় মিলনের ফুল লেন্থ ডেলিভারিতে খোঁচা মারতে গিয়ে অ্যালেনের কাছে ধড়া পড়েন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম ম্যাচে ৪৯ করলেও এই ম্যাচে ২৭ বলে ২১ রান আসে এই ডানহাতি ব্যাট থেকে।
এরপর লেজের সারির ব্যাটারদের নিয়ে একাই লড়াই করে যান নাজমুল শান্ত। তবে দলীয় ১৬৮ রানের মাথায় কোলে ম্যাককনচির বলে রির্ভাস সুইপ খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ এর ফাঁদে পড়ে আউট হন শান্ত। ৮৪ বলে ৭৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি। তার বিদায়ে পর লেজের সারির ব্যাটাররা আর দাঁড়াতে পারেনি। কিউই বোলারদের দাপটে ১৭১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ৩৪.৩ ওভারে ১৭১ (তানজিদ ৫, জাকির ১, শান্ত ৭৬, হৃদয় ১৮, মুশফিক ১৮, মাহমুদউল্লাহ ২১, মেহেদি ১৩, নাসুম ৭, হাসান ১, শরিফুল ১, খালেদ ০; বোল্ট ৬-০-৩৩-২, মিলনে ৬.৩-০-৩৪-৪, শোধি ৬-০-৪০-০, ফারগুসন ৬-০-২৬-১, রবীন্দ্র ৫-১-২০-১, কোলে ৫-০-১৮-২)