বিশ্বকাপ দল বিশ্লেষণ
পাকিস্তানের শক্তিমত্তা, দুর্বলতা ও সম্ভাবনা
সময়ের হিসাবে মাত্র সাত দিন। এরপরই পর্দা উঠবে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের। ওয়ানডে বিশ্বকাপের এবারের আসরে অংশ নেবে ১০টি দল। বিশ্ব ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের সবচেয়ে বড় আসর এই ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারতের ১০টি ভিন্ন শহরের ১০টি স্টেডিয়ামে সব মিলিয়ে মোট ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সম্ভাবনা, শক্তিমত্তা ও দুর্বলতা।
এশিয়া কাপের সুপার ফোর থেকে ছিটকে গেলেও বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার ভাবা হচ্ছে পাকিস্তানকে। কারণ ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে রয়েছে বাবর আজমের দল। এশিয়ান কন্ডিশনে খেলা বলেই শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী পাকিস্তান। পাকিস্তানের শক্তিমত্তা বা দুর্বলতা কি, সেটা একটু জেনে নেওয়া যাক।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের রেকর্ড : বিশ্বকাপে পাকিস্তানের রেকর্ড বেশ ভালো। এখন পর্যন্ত ১২টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা পাকিস্তান ১৯৯২ সালে শিরোপা জয় ছাড়াও একবার রানার্স আপ ও চারবার সেমিফাইনাল খেলেছে। এছাড়া ৪টি বিশ্বকাপে ছিটকে গেছে গ্রুপপর্ব থেকে।
পাকিস্তান স্কোয়াড পর্যালোচনা : এরই মধ্যে বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে অংশগ্রহনকারী ১০ দল। প্রায় প্রতিটি দলই নতুন কোনো মুখ রেখেছে দলে। সেদিক থেকে পিছিয়ে নেই পাকিস্তানও। মোহাম্মদ হাসনাইন, আজম খানদের মতো তরুণদের দলে নিয়েছে পাকিস্তান। এছাড়াও বাবর-রিজওয়ানদের মতো অভিজ্ঞরা তো আছেনই।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের স্কোয়াড : বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান, আসিফ আলী, আজম খান (উইকেটকিপার), হারিস রউফ, হাসান আলী, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ নেওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ ওয়াসিম, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও শোয়েব মাকসুদ।
রিজার্ভ ক্রিকেটার : ফখর জামান, শাহনেওয়াজ দাহানি ও উসমান কাদির।
পাকিস্তানের শক্তিমত্তা : ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ হলেও পাকিস্তান বেশ এগিয়ে থাকবে। কন্ডিশন বিবেচনায় পাকিস্তান অন্য অনেক দল থেকে এগিয়ে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের বিশ্বসেরা পেস বোলিং আক্রমণ যেকোনো দলের জন্য ভয়ের কারণ। আফ্রিদি-রউফদের গতি আর সুইং সামলানো হবে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি শাদাব-ওয়াসিমরা স্পিন জাদু দেখাতে মরিয়া।
পাকিস্তানের দুর্বলতা : পাকিস্তানের অন্যতম দুর্বলতা মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতা। সাম্প্রতিক সিরিজগুলোতে টপ অর্ডারে বাবর-রিজওয়ান ছাড়া কেউ জ্বলে উঠতে পারেনি। শুধু তাই নয় এই দুই ব্যাটার আউট হলে তাসের ঘরের মতো দ্রুতই ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। যা বড় দুশ্চিন্তার কারণ। তাই বিশ্বকাপে ভাল করতে হলে মিডল অর্ডারদের দায়িত্ব নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
পাকিস্তানের সম্ভাবনা : ২০১৯ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেলেও বর্তমান পাকিস্তান দল বেশ শক্তিশালী। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে দলটি ভারতের মাটিতে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা জিততে মরিয়া। দেখার পালা বাবর আজম তার দলকে কতদূর নিয়ে যেতে পারেন।