বিশ্বকাপে আইসিসির চোখে বাংলাদেশের সেরা যারা
দিন তিনেক পরই শুরু হবে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩। ৫ অক্টোবর থেকে ভারতে শুরু হবে ১০ দলের শিরোপা লড়াই। এর আগে গতকাল রোববার (১ অক্টোবর) নিজেদের ওয়েবসাইটে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সেরা তারকাদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইসিসি। প্রত্যেক দলের স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের ব্যাটিং, বোলিং, অলরাউন্ডার— তিন বিভাগে আইসিসির বর্তমান র্যাঙ্কিং অনুযায়ী সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ব্যাটারদের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে এগিয়ে মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ দলের মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিক ব্যাটারদের তালিকায় আছেন ২১ নম্বরে। উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকের এটি বিশ্বকাপে পঞ্চম অংশগ্রহণ। এর আগে ২০০৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত হওয়া সবগুলো আসরেই দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে মুশফিক খেলেছেন ২৮টি ম্যাচ। ২৮ ম্যাচে ব্যাট হাতে তার সংগ্রহ ৮৭৭ রান। ৩৮.১৩ গড়ে এই রান করার পথে তিনি হাফসেঞ্চুরি করেছেন ছয়টি, সেঞ্চুরি একটি। গত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন ৯৭ বলে অপরাজিত ১০২ রানের চোখধাঁধানো ইনিংস।
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটের পেছনেও সফল এই তারকা। ২৮ ম্যাচে করেছেন সমান ২৮টি ডিসমিসাল। যাতে রয়েছে ২১টি ক্যাচ ও সাতটি স্ট্যাম্পিং।
সেরা বোলারের তালিকায় সাকিবের অবস্থান ১৭তম। স্কোয়াডে থাকা বাংলাদেশিদের মধ্যে তার আগে কেউ নেই। বল হাতে দারুণ সফল তিনি। মুশফিকের মতোই ২০০৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত হওয়া সবগুলো আসরেই দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।
বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচ খেলে ৩৪ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। ইকোনমি মাত্র ৫.১২। গত বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে করেছেন বিশ্ব আসরে নিজের সেরা বোলিং। ২৯ রানে নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। সাকিবের ৩৪ উইকেট এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া বোলারদের মধ্যে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
আইসিসির অলরাউন্ডারের তালিকায় ওয়ানডেতে সবার ওপরে আছেন সাকিব। ২০১১ থেকে হওয়া সবগুলো বিশ্বকাপই সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে শুরু করেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও সাকিব দুর্দান্ত। ২৯ ম্যাচে করেছেন ১১৪৬ রান। ৪৫.৮৪ গড়ে এই রান করার পথে সাকিব হাফসেঞ্চুরি করেছেন ১০টি, সেঞ্চুরি দুটি।
গত বিশ্বকাপে আট ম্যাচে ৬০৬ রান করে সাকিব হয়েছিলেন আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।