বিশ্বকাপ দল বিশ্লেষণ
নিউজিল্যান্ডের শক্তিমত্তা, দুর্বলতা ও সম্ভাবনা
সময়ের হিসেবে মাত্র দুই দিন। এরপরই পর্দা উঠবে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের। ওয়ানডে বিশ্বকাপের এবারের আসরে অংশ নেবে ১০টি দল। বিশ্ব ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের সবচেয়ে বড় আসর এই ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারতের ১০টি ভিন্ন শহরের ১০টি স্টেডিয়ামে সব মিলিয়ে মোট ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতি বিশ্বকাপেই সম্ভাব্য ফেভারিটের তালিকায় থাকে নিউজিল্যান্ড। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। সাম্প্রতিক ফর্ম আর এশিয়ান কন্ডিশনে অতীত পরিসংখ্যান বেশ ভালো দলটির। দীর্ঘদিন ধরে বৈশ্বিক আসরে শিরোপা জিততে না পারা নিউজিল্যান্ডের শক্তিমত্তা বা দুর্বলতা কি, সেটা একটু জেনে নেওয়া যাক।
বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড : বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড খুব একটা আশাব্যাঞ্জক নয়। এখন পর্যন্ত ১২টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা নিউজিল্যান্ড একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। ২০১৫ ও ২০১৯ এই দুই বিশ্বকাপে টানা ফাইনাল খেললেও শিরোপা জেতা হয়নি। যদিও ২০২১ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের স্কোয়াড পর্যালোচনা : এখন পর্যন্ত যতগুলো দল বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে, তাদের প্রায় সবাই নতুন কোনো মুখ রেখেছে দলে। তবে সেদিক থেকে ব্যতিক্রম নয় নিউজিল্যান্ডও। রাচিন রবীন্দ্র, উইল ইয়ংদের মতো তরুণদের নিয়ে দল গড়েছে নিউজিল্যান্ড। পাশাপাশি আছে উইলিয়ামসন-বোল্টের মতো অভিজ্ঞরা।
বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের স্কোয়াড : কেইন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ট্রেন্ট বোল্ট, মার্ক চাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, টম লাথাম, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, ইশ শোধি, টিম সাউদি, উইল ইয়ং।
নিউজিল্যান্ডের শক্তিমত্তা : ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ হলেও ব্যাটিংয়ে অন্যান্য দল থেকে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে নিউজিল্যান্ড। কারণ দলটির বেশিরভাগ ক্রিকেটারের ভারতের মাটিতে আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। উইলিয়ামসন-কনওয়েরা যেকোনো দলের বোলাদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলাররাও বেশ কার্যকরী। বোল্ট-সাউদিদের সুইং ও ইয়ংকার সামলাতেও বাড়তি পরিকল্পনা করতে হবে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের।
নিউজিল্যান্ডের দুর্বলতা : ব্যাটিং ইউনিটে নিউজিল্যান্ডের অন্যতম দুর্বলতা মিডল অর্ডারদের অধারাবাহিকতা। সাম্প্রতিক কয়েকটি সিরিজে জ্বলে উঠতে পারেনি মিডল অর্ডাররা। তাই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তাদেরকে বাড়তি কাজ করতে হবে। বোলিংয়ে অবশ্য কিউইদের তেমন কোনো দুর্বলতা নেই বললেই চলে।
নিউজিল্যান্ডের সম্ভাবনা : ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে শিরোপা জিততে না পারলেও নিউজিল্যান্ডকে এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট হিসেবেই ধরা হচ্ছে। কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে কতদূর যেতে পারবে নিউজিল্যান্ড, সেটাই এখন দেখার পালা।