বিশ্বকাপ দল বিশ্লেষণ
আফগানিস্তানের শক্তিমত্তা, দুর্বলতা ও সম্ভাবনা
সময়ের হিসেবে মাত্র দুই দিন। এরপরই পর্দা উঠবে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের। ওয়ানডে বিশ্বকাপের এবারের আসরে অংশ নেবে ১০টি দল। বিশ্ব ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের সবচেয়ে বড় আসর এই ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারতের ১০টি ভিন্ন শহরের ১০টি স্টেডিয়ামে সব মিলিয়ে মোট ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বৈশ্বিক আসরে শিরোপা জিততে না পারা আফগানিস্তানের শক্তিমত্তা বা দুর্বলতা কি, সেটা একটু জেনে নেওয়া যাক।
বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের রেকর্ড : এখন পর্যন্ত দুইটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করা আফগানিস্তানের রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। দুই বিশ্বকাপেই গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়েছে আফগানরা। তবে এবার এশিয়ার মাটিতে বিশ্বকাপ হওয়ায় আফগানিস্তানকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। যেকোনো সময় অঘটনের জন্ম দিতে পারে দলটি, এমনটাই মনে করছেন সাবেকরা।
আফগানিস্তানের স্কোয়াড পর্যালোচনা : এখন পর্যন্ত যতগুলো দল বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে, তাদের প্রায় সবাই নতুন কোনো মুখ রেখেছে দলে। সেদিক থেকে ব্যতিক্রম নয় আফগানরা। আবদুর রহমান, ইকরাম আলী, নূর আহমেদ, ফজল হক ফারুকীদের মতো তরুণদের পাশাপাশি দলটিতে আছে রশিদ-নবিদের মতো অভিজ্ঞরা।
বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের স্কোয়াড : হাশমতউল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, ইকরাম আলী খিল, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, আবদুর রহমান, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, নূর আহমদ, ফজল হক ফারুকী, নাভিন উল হক।
আফগানিস্তানের শক্তিমত্তা : ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ বলেই আফগানিস্তানকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় অংশগ্রহনকারী বাকি ৯ দল। কারণ আফগানদের স্পিন আক্রমণ যে বিশ্বখ্যাত। রশিদ-মুজিবরা যেকোনো ব্যাটিং লাইনআপকে নিমিষেই গুড়িয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। তাই তাদের সামলাতে বাড়তি পরিকল্পনা করতে হবে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের।
আফগানিস্তানের দুর্বলতা : বোলিং বিভাগে আফগানরা দাপুটে পারফরম্যান্স করতে পারলেও ব্যাটিংয়ে ছন্নছাড়া। বিশ্বমানের বোলিংয়ের বিপরীতে প্রায়শই ভুগতে দেখা যায় শাহিদি-গুরবাজদের। তাই বিশ্বকাপে ব্যাটারদের নিয়ে বাড়তি কাজ করতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে।
আফগানিস্তানের সম্ভাবনা : ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করা আফগানিস্তান টানা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাচ্ছে। আফগানদের ফেবারিটের তালিকায় রাখা না হলেও তাদের তুচ্ছ ভাবাটা প্রতিপক্ষের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে। রশিদ-নবিরা আফগানদের কতদূর নিয়ে যেতে পারেন, সেটাই দেখার পালা।