বিশ্বকাপ স্টেডিয়াম পরিচিতি
এম এ চিদাম্বারাম স্টেডিয়াম, চেন্নাই
ভারতের মাটিতে বিশ্ব ক্রিকেটের মহারণ বসতে বাকি আর মাত্র একদিন। এর মধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আয়োজক ভারত। অপেক্ষা শুধু স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসে খেলা শুরুর। ভারতজুড়ে যে ১০টি স্টেডিয়ামে বিশ্ব শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামবে দলগুলো, প্রস্তুত হয়ে গেছে সেগুলোও। এর আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক, বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলোর খুঁটিনাটি। আজ থাকছে চেন্নাইয়ের এম. এ চিদাম্বারাম স্টেডিয়াম।
মুথিয়া আন্নামালাই বা এম. এ. চিদাম্বারাম স্টেডিয়াম ভারতের চেন্নাইয়ের তামিলনাড়ুতে অবস্থিত। যার আরেক নাম চেপাউক স্টেডিয়াম। বঙ্গোপসাগরের ধারে মেরিনা বিচ থেকে কয়েকশ মিটার দূরে চেপাউকে এর অবস্থান। স্টেডিয়ামের উত্তরের গা ঘেঁষে চলে গেছে ব্যাকিংহাম খাল।
১৯১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত স্টেডিয়ামটি সর্বপ্রথম পরিচিত ছিল মাদ্রাজ ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ড নামে। পরবর্তীতে এটি মুথিয়া আন্নামালাই চিদাম্বারাম চেত্তিয়ার নামে নামকরণ করা হয়। তিনি ছিলেন বিসিসিআই-এর প্রাক্তন সভাপতি এবং তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (টিএনসিএ) প্রধান। এই স্টেডিয়াম তামিলনাড়ু ক্রিকেট দল এবং আইপিএল দল চেন্নাই সুপার কিংসের হোম গ্রাউন্ড।
এর ব্যাপক সংস্কার ঘটে ২০১১ সালে। প্রথমে এর স্তম্ভসহ পুরনো ছাদ পুরনো স্টেডিয়ামের দৃশ্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। সংস্কারের পর তা তারের দ্বারা একত্রে রাখা হালকা চতুর্ভুজ শঙ্কাযুক্ত ছাদ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। ফলে পুরো স্টেডিয়াম দেখতে এখন আর কোনো বাধা নেই। স্টেডিয়ামে বর্তমানে ৫০ হাজার দর্শক বসতে পারে। এই ভেন্যুতে এবারের বিশ্বকাপের মোট পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
পূর্বে এ স্টেডিয়ামটি চেপবক্কম স্টেডিয়াম ও মাদ্রাজ ক্রিকেট ক্লাব মাঠ নামে পরিচিত ছিল। এটি ভারতের অন্যতম প্রাচীন স্টেডিয়ামের একটি। ১৯৯৭ সালে ভারতের বিপক্ষে ওডিআইয়ে ১৯৪ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েন পাকিস্তানের সাঈদ আনোয়ার। যা লম্বা সময় ছিল ওডিআই ইতিহাসে কোনো ব্যাটারের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। ২০১১ ও ২০১২ আইপিএল ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয় এই স্টেডিয়ামে। এই মাঠে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে চায় দলগুলো। কারণ পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী আগে ব্যাট করা দলেরই জয়ের পাল্লা ভারী।