বিশ্বকাপ মাঠ পরিচিতি
হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, ধর্মশালা
ভারতের মাটিতে বিশ্ব ক্রিকেটের মহারণ বসতে বাকি আর মাত্র একদিন। এর মধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আয়োজক ভারত। ভারতজুড়ে যে ১০টি স্টেডিয়ামে বিশ্ব শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামবে দলগুলো, প্রস্তুত হয়ে গেছে সেগুলোও। অপেক্ষা শুধু স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসে খেলা শুরুর।
এর আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক, বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলোর খুঁটিনাটি। আজ থাকছে বিশ্বকাপের অন্যতম সুন্দর ভেন্যু হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, ধর্মশালা।
ধর্মশালাকে হিমাচল প্রদেশের দ্বিতীয় রাজধানী বলা হয়। বিশ্বের অন্যতম সুন্দর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জন্য শহরটির পরিচয় রয়েছে। হিমাচল প্রদেশের কানগ্রা জেলায় এই স্টেডিয়ামটি অবস্থিত। শুধু তাই নয়, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত এই ক্রিকেট স্টেডিয়াম। হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম এইচপিসিএ স্টেডিয়াম নামেও বেশ পরিচিত।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪৫৭ মিটার উঁচুতে স্টেডিয়ামটির অবস্থান। এর পেছনে রয়েছে হিমালয় পর্বত। তবে স্টেডিয়ামটি দর্শক ধারণ ক্ষমতা অনেক কম, মাত্র ২৩ হাজার। এই স্টেডিয়ামেই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে এই স্টেডিয়ামটি টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি পায়। এরপর ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করা হয়। তবে করোনা মহামারীর পর এখানে আর কোনো ওয়ানডে ম্যাচ মাঠে গড়ায়নি।
বস্তুত ধর্মশালা এবারের বিশ্বকাপে মোট পাঁচটি ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে, যে সৌভাগ্য ভারতের অনেক বড় বড় ক্রিকেট মাঠেরও হয়নি। এই ম্যাচগুলো হল বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান (৭ অক্টোবর), বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড (১০ অক্টোবর), দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম নেদারল্যান্ডস (১৭ অক্টোবর), ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড (২২ অক্টোবর) আর অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ড (২৮ অক্টোবর)।
এই স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে জয় এসেছে কেবল এক ম্যাচে। আর পরে ব্যাট করে জয়ের সংখ্যা ৩ ম্যাচে। ম্যাচ বাই ম্যাচ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ধর্মশালার এই পিচে রান তোলা বেশ কষ্টের। এখন পর্যন্ত ২০০ এর নিচে অলআউট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৪ বার। উচ্চতার কারণে এখানে বলের গতিতে বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন বোলাররা।