বিশ্বকাপ স্টেডিয়াম পরিচিতি
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়াম, পুনে
ভারতের মাটিতে বিশ্ব ক্রিকেটের মহারণ বসতে বাকি আর মাত্র একদিন। এর মধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আয়োজক ভারত। অপেক্ষা শুধু স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসে খেলা শুরুর। ভারতজুড়ে যে ১০টি স্টেডিয়ামে বিশ্ব শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামবে দলগুলো, প্রস্তুত হয়ে গেছে সেগুলোও। এর আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক, বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলোর খুঁটিনাটি। আজ থাকছে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়াম, পুনে।
মহারাষ্ট্রের পুনেতে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামটি অবস্থিত। মহারাষ্ট্র ক্রিকেট টিম ও মহারাষ্ট্র ওমেন্স ক্রিকেট টিমের হোম গ্রাউন্ড এটি। ২০১২ সালে উদ্বোধন হওয়া মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি সুব্রত রায় সাহারা স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত।
ইংল্যান্ডের হপকিন্স আর্কিটেক্টস স্টেডিয়ামটির ডিজাইন করেন। ৩৭ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটির কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। ৭৫ ভাগ দর্শকাসনের উপর ছাউনি তৈরির কাজ এখনও বাকি।
এর আগে পুনের নেহরু স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজিত হত। তবে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমসিএ) সঙ্গে পুনে মিউনিসিপাল করপোরেশনের টিকিট নিয়ে ঝামেলা হওয়ার পরে নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করতে বাধ্য হয় এমসিএ।
২০১২ সালে বিসিসিআই ও আইসিসি প্রেসিডেন্ট শারদ পাওয়ার স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করেছিলেন। এ স্টেডিয়ামে এবারের বিশ্বকাপের পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ভারত ও বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দুটি এখানে অনুষ্ঠিত হবে।
সুব্রত রায় সাহারা স্টেডিয়াম হিসেবে এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সাহারা গ্রুপ নামকরণের স্বত্ব কিনে নেওয়ার সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। আর একারণেই শেষ পর্যন্ত এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয় মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
পুনের এই স্টেডিয়ামটি ব্যাটারদের স্বর্গ বলা হয়ে থাকে। তবে স্পিনাররাও বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। শুরুর দিকে ব্যাটিং করাটা কিছুটা সুবিধার। এরপর স্পিনাররা টার্ন পেতে শুরু করেন এবং ব্যাট করাটা কিছুটা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। এ কারণেই এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া ৭টি ওডিআই ম্যাচের ভেতর চারটিতে প্রথমে ব্যাট করা দল জয় পেয়েছে। আর রান তাড়া করে জয় পাওয়া ম্যাচের সংখ্যা তিনটি।