বিশ্বকাপ মাঠ পরিচিতি
ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়াম, কলকাতা
ভারতের মাটিতে বিশ্ব ক্রিকেটের মহারণ বসতে বাকি আর মাত্র একদিন। এর মধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আয়োজক ভারত। অপেক্ষা শুধু স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসে খেলা শুরুর। ভারতজুড়ে যে ১০টি স্টেডিয়ামে বিশ্ব শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামবে দলগুলো, প্রস্তুত হয়ে গেছে সেগুলোও। এর আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক, বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলোর খুঁটিনাটি। আজ থাকছে কলকাতার ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়াম।
ভারতের অন্য সব শহরে ক্রিকেটই সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা, তবে ব্যতিক্রম কলকাতা। এ শহরে ফুটবল সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ফুটবলের প্রতি রয়েছে বিশেষ ভালোবাসা। ভারতের সবচেয়ে পুরাতন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ‘ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন’ রয়েছে এ শহরে। বিখ্যাত সব ফুটবল ক্লাব মোহনবাগান, ইস্ট বেঙ্গল , মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবগুলো এ শহরেই রয়েছে।
“ক্রিকেটের কলোসিয়াম” “ভারতীয় ক্রিকেটের আতুর ঘর”, অথবা “ভারতীয় ক্রিকেটের মক্কা”। এ সবগুলো বিশেষণেই ব্যাপকভাবে স্বীকৃত পশ্চিমবঙ্গের এই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি। ভারতের প্রাচীনতম এই ক্রিকেট ভেন্যুটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬৪ সালে। গোটা ভারতে দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং সারা বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামটির বর্তমান দর্শক ধারণক্ষমতা ৬৮ হাজার।
তবে ২০১০ সাল পর্যন্ত ধারণক্ষমতা ছিল এক লাখ। নুতন পরিকল্পনা অনুসারে আবার ধারণ ক্ষমতা এক লাখে উন্নীত করা হবে। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে ভারত ও শ্রীলংকার সেমিফাইনাল ম্যাচে সর্বোচ্চ এক লাখ ১০ হাজার ৫৬৪ জন দর্শক মাঠে ছিলেন। যা রীতিমত রেকর্ড।
ইডেন গার্ডেন ওডিআই বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপসহ বড় বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ম্যাচ আয়োজন করেছে। এছাড়াও স্টেডিয়ামটি বেঙ্গল ক্রিকেট দল এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি হোস্ট করে।
২০১৬ সাল থেকে খেলার শুরুতে স্টেডিয়ামে একটি ঘণ্টা বাজানোর প্রথা চালু হয়। এবারের টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালসহ মোট পাঁচটি ম্যাচের জন্য নির্ধারিত হয়েছে ইডেন গার্ডেন। শুরুতে স্টেডিয়ামটির নাম ছিল অকল্যান্ড সার্কাস গার্ডেন্স। পরবর্তীতে ইডেন গার্ডেন নাম হয়।