বিশ্বকাপ মাঠ পরিচিতি
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, মুম্বাই
ভারতের মাটিতে বিশ্ব ক্রিকেটের মহারণ বসতে বাকি আর মাত্র একদিন। এর মধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আয়োজক ভারত। অপেক্ষা শুধু স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসে খেলা শুরুর। ভারতজুড়ে যে ১০টি স্টেডিয়ামে বিশ্ব শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামবে দলগুলো, প্রস্তুত হয়ে গেছে সেগুলোও। এর আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক, বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলোর খুঁটিনাটি। বিশ্বকাপকে ঘিরে এনটিভি অনলাইনের বিশেষ আয়োজনে আজ থাকছে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, মুম্বাই।
মুম্বাই শহরের গুরুত্ব ভারতে অপরিসীম। দেশটির অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং বিনোদনের রাজধানী বলা হয় মুম্বাইকে। ভারতের অন্যান্য শহরের মতো মুম্বাইয়ে ক্রিকেট সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ভারতের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট (বিসিসিআই) এর সদর দপ্তর এখানে। আর এই শহরেই অবস্থিত ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ওয়াংখেড়ে।
মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মালিকানায় পরিচালিত এই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি আইপিএলের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হোম গ্রাউন্ড। মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ছাড়াও এখানে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) এবং আইপিএলের সদর দপ্তর রয়েছে। মেরিন ড্রাইভের কাছে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল শচীন টেন্ডুলকারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি।
পুরো মাঠটি স্থানীয় লাল মাটিতে পরিপূর্ণ, যার ফলে এর বাউন্সিং পিচ হিসেবে খ্যাতি আছে। অতিরিক্ত বাউন্স ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ সুবিধাজনক হওয়ায়, বছরের পর বছর ধরে পিচটি বোলারদের চেয়ে ব্যাটসম্যানদের কাছে বেশি পছন্দের। অবশ্য স্টেডিয়াম বরাবর সামুদ্রিক হাওয়া প্রবাহের কারণে পেসাররা এখানে কিছুটা সুবিধা পান।
স্টেডিয়ামের অন্যতম আকর্ষণ হলো সামনের দিকে প্রসারিত দীর্ঘ ছাদ। টেফলন ফ্যাব্রিকের এই ছাদটি ওজনে তুলনামূলক হালকা এবং তাপ প্রতিরোধী। ছাদের জন্য কোনো বীম সাপোর্ট নেই। ফলে দর্শকদের খেলা দেখায় কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় না। স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৩২,০০০। এবারের টুর্নামেন্টে এখানে সেমিফাইনালসহ মোট পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।