বড় সংগ্রহের আশায় লড়ছে পাকিস্তান
পরিসংখ্যানে পাকিস্তানের ধারেকাছেও নেই। ধারেভারে সবদিকে এগিয়ে আজমের দল। তবু, আনকোরা নেদারল্যান্ডসের সামনে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বিপদে তারা। ডাচদের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩৮ রানেই তিন টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। রিজওয়ান-শাকিলের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়লেও তাদের বিদায়ে ফের বিপর্যয়ে পাকিস্তান।
ফখর জামান ও ঈমাম উল হক মিলে শুরুটা বেশ সাবধানী ঢংয়ে করেন। কিন্তু, সেই জুটি বেশিক্ষণ টিকতে দেয়নি নেদারল্যান্ডস। দলীয় ১৫ রানেই তুলে নেয় ফখরের (১২) উইকেট। সময়ের সেরা ব্যাটার পাকিস্তান অধিনায়ক বাবরও ফিরে যান মাত্র পাঁচ রান করে। ঈমাম সাজঘরে ফেরেন ১৫ রানে। দ্রুত উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় পাকিস্তান।
চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল মিলে ১২০ রানের জুটি গড়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন। কিন্তু, ৭৫ বলে ৬৮ রান কের রিজওয়ান এবং ৫২ বলে ৬৮ রানের জড়ো ইনিংস খেলে শাকিল বিদায নিলে ফের একবার বিপদে পড়ে পাকিস্তান। ছয় উইকেট হারিয়ে মোহাম্মদ নাওয়াজ ও শাদাব খানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে পাকিস্তান। আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করছে বাবর আজমের দল।
বিশ্বকাপে পাকিস্তান বরাবরই ফেভারিটের তালিকায় থাকে। ক্রিকেটের চিরকালীন ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ দল তারা। ১৯৯২ বিশ্বকাপেই যেমন আলোচনার বাইরে থেকে শিরোপা জিতে যায় ইমরান খানের দল। এরপর অবশ্য আর বিশ্বকাপের স্বাদ পায়নি পাকিস্তান। তবে, এবারও ফেভারিটের তালিকায় উপরের দিকে পাকিস্তানের নাম।
আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তান আছে দুইয়ে। নেদারল্যান্ডস এসেছে বাছাই পর্বের বাধা পেরিয়ে। ম্যাচে সবদিক থেকেই এগিয়ে থাকবে বাবর আজমের দল। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে হারলেও তারা ৩০০-র ওপর রান তুলেছে দুই ম্যাচেই। ডাচদের বিপক্ষে আরও একটি রান বন্যাময় ম্যাচ দেখার আশা তাই পাকিস্তান সমর্থকরা করতেই পারে।
বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফখর জামানদের নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ যেমন শক্তিশালী; তেমনি শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফদের নিয়ে গড়া বোলিং আক্রমণ বর্তমানে অন্যতম সেরা। ফলে, দুই দিকেই ডাচদের মুখোমুখি হতে হবে কঠিন চ্যালেঞ্জের।