মাঠে বসে বিশ্বকাপ দেখার আগ্রহ নেই দর্শকের
এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারতে। যে দেশে ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই। শুধু ভারত নয়, গোটা ভারতীয় উপমহাদেশে ক্রিকেটের উন্মাদনা অন্য যে কোনো জায়গার চেয়ে বেশি। তাছাড়া, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ১০ দলের পাঁচটি শুধু এশিয়ারই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের। আইসিসি যেখানে ধারণা করেছিল, দর্শকে টইটম্বুর থাকবে প্রতিটি ম্যাচ, প্রথম দুদিন শেষে চিত্রটা ঠিক তার উল্টো।
গতবারের দুই ফাইনালিস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে গত ৫ অক্টোবর পর্দা উঠেছে বিশ্বকাপের। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মাঠ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে গ্যালারি যেন খা খা করেছে। ক্রিকেটের দুই পাওয়ার হাউজের এই ম্যাচে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের গ্যালারি দেখে মনে হয়েছিল, বুঝি গুরুত্বহীন এক ম্যাচ! ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম এটি, দর্শক ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৩২ হাজার। কিন্তু, একটু সময় দিয়ে যদি কেউ গুনতে শুরু করতেন, হয়তো বলে দিতে পারতেন ঠিক কতজন দর্শক ছিলেন গ্যালারিতে।
ম্যাচের আগে গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এক সিনিয়র সদস্যের বরাতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছিল, প্রায় ৪০ হাজার গুজরাটি নারী ফ্রিতে মাঠে বসে খেলা দেখবেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সেই সুবিধা দিলেও গ্যালারিতে ছিল না তার ছিটেফোঁটা। একই চিত্র দেখা গেছে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) পাকিস্তান-নেদারল্যান্ডস ম্যাচেও। হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারিও ছিল দর্শকবিহীন।
আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে। এই ম্যাচেও যে তেমন দর্শক হবে না, তা মোটামুটি বলা চলে।
ভারতের মাটিতে ক্রিকেটের ইভেন্টে এমন দর্শকখরা মানতে পারছেন না সাবেক তারকারা। সাবেক ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ নিজের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে করা এক পোস্টে বলেন, মাঠে আরও অনেক দর্শক আসা উচিত। প্রয়োজনে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের ফ্রিতে টিকিট দিন। বিশ্বকাপের মতো আসরের অভিজ্ঞতা নিতে দিন তাদের। এটি তরুণ ক্রিকেটারদেরও উদ্বুদ্ধ করবে। ভরা স্টেডিয়ামে খেলার ব্যাপারটাই অন্যরকম।‘
সাবেক ভারতীয় কোচ ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী তার ধারাভাষ্যে বলেন, বিশ্বকাপের শুরুটা যদি ভারতের ম্যাচ দিয়ে হতো, তাহলে আমি নিশ্চিত পুরো গ্যালারি ভর্তি থাকতো। এমনকি ছুটির দিন না হলেও স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ থাকত। তবে, ভারতের ম্যাচ ছাড়া অন্য ম্যাচগুলোও দেখা উচিত।’