ব্যাটে-বলে আবারও বাংলাদেশের নায়ক মিরাজ
সম্প্রতি বল হাতে দারুণ ছন্দে রয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। স্বাভাবিকভাবেই আফগানিস্তান ম্যাচের আগের আলোচনাটাও ছিল তাদের নিয়েই। তবে ধর্মশালার পেসবান্ধব উইকেটে পেসারদের ছাড়িয়ে সব আলো নিজেদের করে নিয়েছেন স্পিনাররা। বিশেষ করে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ তো যেন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে নেমেছেন।
আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) ধর্মশালায় বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল নয়, সেটাই প্রমাণ করলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। নবম ওভারে আক্রমণে এসেই দলকে এনে দেন প্রথম ব্রেক থ্রু।
এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশকে। সাকিবের দেখানো পথেই আফগানিস্তানের ব্যাটারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেন মিরাজ। ৯ ওভারে ৩ মেইডেন দিয়ে ২৫ রান খরচায় তুলে নেন ৩ উইকেট। অন্যদিকে, অধিনায়ক সাকিব ৮ ওভারে ৩০ রানে তিন উইকেট শিকার করেন।
সাকিব-মিরাজের স্পিন বিষে নীল হওয়া আফগানদের বাকি চার উইকেট তুলে নেন তিন পেসার মিলে। বিশ্বকাপে নিজের অভিষেক শরিফুল ইসলাম রাঙিয়েছেন জোড়া উইকেট পেয়ে। তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান পান একটি করে উইকেট। বাংলাদেশি বোলারদের চমৎকার বোলিংয়ে আফগানরা মাত্র ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রানেই থেমে যায়। যে লক্ষ্য অনায়াসে টপকে গিয়ে বিশ্বকাপে বর্ণিল সূচনা করে বাংলাদেশ।
বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দলের কাণ্ডারি হেন মিরাজ। ৫৮ তুলে নেন বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ফিফটি। অবশ্য ফিফটির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মিরাজ। ৭৩ বলে ৫৭ রান করে ফেরেন সাজঘরে। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও নিজের করে নেন এই ২৫ বছর বয়সী ক্রিকেটার।