ভারতের আজ বাংলা পরীক্ষা
পরপর দুই ম্যাচে পরাজয় বাংলাদেশের। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে হারগুলো দৃষ্টিকটূ। দুই ম্যাচের কোনোটিতেই ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি সাকিব আল হাসানরা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলেও তিন ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের অবস্থান নড়বড়ে। এখনও ছয়টি ম্যাচ বাকি। একটি জয় বদলে দিতে পারে দলের চেহারা। সেই জয়ের খোঁজে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) স্বাগতিক ভারতের মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায়।
গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ পেয়ে আসছে ভিন্ন মাত্রা। শক্তি-সামর্থ্যে তারতম্য থাকলেও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ লড়াইটা করে দাঁতে দাঁত চেপে। বরং, সম্প্রতি পাক-ভারত লড়াইয়ের চেয়েও বেশি উত্তেজনা এই ম্যাচকে ঘিরে। বাংলাদেশের জন্য বাড়তি প্রেরণা সর্বশেষ এশিয়া কাপ। যেখানে শেষ দেখায় জয়ের হাসি বাংলাদেশই হেসেছিল।
এবারের বিশ্বকাপে টানা দুটি অঘটন দেখেছে ক্রিকেট দুনিয়া। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে আফগানিস্তান। উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে তাই সতর্ক তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ভারত। তা ছাড়া, এশিয়া কাপে হারের ক্ষতটা তো এখনও দগদগে।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) ভারতের বোলিং কোচ পরশ মামব্রে বাংলাদেশকে সমীহ করেই বলেন, ‘আমরা তিনটি ম্যাচ জিতেছি। ভালো অবস্থানে আছি। বিশ্বকাপে মোট ৯টি ম্যাচ খেলতে হবে আমাদের। সব ম্যাচই সমান। সবার সমান সম্ভাবনা আছে। যে কোনো কিছুই হতে পারে। বাংলাদেশকে নিয়েও একই গুরুত্ব থাকবে। আমরা অবগত আছি। নিজেদের উন্নতি নিয়ে ভাবছি।’
ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ চার দেখায় তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। তবে, ভারতের মাটিতে ভারতকে হারানোটা বেশ কঠিন। তার ওপর সাকিবের চোট খানিকটা হলেও দুঃশ্চিন্তায় ফেলছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে। যদিও, কাল সাকিবের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। এ ম্যাচের আগ্রহ বাড়িয়ে দিচ্ছে আরেকটি তথ্য। ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে ২৫ বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দুদল মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৯৮ সালে।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আজ বাংলাদেশ কোচ হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আমরা শেষ দুই ম্যাচে ভালো করতে পারিনি। তবে, নেটে ছেলেরা ভালো অনুশীলন করেছে। পরবর্তী ম্যাচে আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। একটি দল হিসেবে খেলতে হবে সবাইকে। ভারতকে আমরা আগেও হারিয়েছি। এই ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী। দলের পরিবেশ বদলে জিতে একটি জয় প্রয়োজন।’
দুই দলের ভক্তরা মুখিয়ে ম্যাচটি দেখতে। ভারতের সামনে চারে চার করার সুযোগ। বাংলাদেশের লক্ষ্যটা জয়ে ফেরার। সবমিলিয়ে পুনেতে জমাটি এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় ক্রিকেট দুনিয়া।
বাংলাদেশ স্কোয়াড
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদী, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
ভারত স্কোয়াড
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), হার্দিক পান্ডিয়া, শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা, শারদুল ঠাকুর, জসপ্রীত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, কুলদ্বীপ যাদব, মোহাম্মদ শামি, অক্ষর প্যাটেল, ইশাণ কিশান ও সূর্যকুমার যাদব।