কোহলির সেঞ্চুরিতে ওয়াইড বিতর্ক, কী আছে নিয়মে?
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই যেন বিতর্ক। বিশেষ করে আইসিসির ইভেন্টগুলোতে। তেমন এক বিতর্ক শুরু হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) পুনের ম্যাচ ঘিরেও। সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করছিলেন বিরাট কোহলি। ৪২তম ওভারের প্রথম বলটি ডাউন দ্য লেগে করেছিলেন নাসুম। কোহলির পা এবং ব্যাট থেকে বেশ দূর দিয়ে বল গেলেও আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরা সেটি ওয়াইড দেননি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে, ডেলিভারিটি কেন ওয়াইড দেওয়া হলো না? সিদ্ধান্তটা কি কোহলির সেঞ্চুরি নিশ্চিত করতে? বলের লাইন থেকে পা সরিয়ে নিয়ে আম্পায়ার কেটেলবরার দিকে তাকিয়ে ছিলেন কোহলি। ইংরেজ আম্পায়ার দুই হাত প্রসারিত না করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকায় ভারতের ড্রেসিংরুমে হেসেছেন অনেকে।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করেছে, বলের গতিপথ থেকে পা সরিয়ে নিয়েছেন কোহলি। তার বাঁ পা পূর্বের জায়গায় থাকলে বল সম্ভবত প্যাডে লাগত। যেহেতু পা সরিয়ে নিয়েছেন কেটেলবরো, তাই ওয়াইড দেননি।
তবে, ওয়াইড দেওয়া না দেওয়া নিয়ে কী বলছে ক্রিকট? ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা বলছে, যদি বোলার বল করার সময় উলটো দিকের ব্যাটার ক্রিজে নড়াচড়া করেন, সেক্ষেত্রে ডেলিভারি ওয়াইড হলেও আম্পায়ার তা দিতে বাধ্য হবেন না। ক্রিকেট সংবিধানের ২২.১ ধারায় এই নতুন নিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২২ সালে নিয়মটির সংযোজন করা হয়।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নাসুম যখন বল করতে আসছিলেন, সেইসময় বিরাট কোহলি লেগ স্টাম্পের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার স্টান্স একেবারে ওপেন ছিল। কিন্তু, তারপরই তিনি অফ স্টাম্পের দিকে চলে যান। যখন বিরাট দেখেন যে বলটা লেগ স্টাম্পের বাইরে যাচ্ছে, সে সময় তিনি নিজের শরীরটা আরও সামনের দিকে সরিয়ে আনেন। যদি বিরাট নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতেন, তাহলে বলটা তার প্যাডে এসে লাগত। কোহলির ব্যাটিংয়ের সময় আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরা ওই থিওরি প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছেন।