ক্লাসেনের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের পাহাড়
ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুর গল্পটা ছিল একেবারে বিপরীত মেরুতে। তবে দুটি অঘটন একই বিন্দুতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে দল দুটিকে। আফগানিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অঘটনের শিকার হয়েছে তারা। সেই ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে ইংল্যান্ডকে পাহাড়সম লক্ষ্য দিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৯৯ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ১০৯ রান করেন হেনরিখ ক্লাসেন।
অসুস্থতার কারণে এই ম্যাচে নেই নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তার পরিবর্তে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন এডেন মার্করাম। বাভুমা না থাকায় ওপেনিংয়ে শুরুটাও ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। দলীয় চার রানের মাথায় ফেরেন কুইন্টন ডি কক। রিচ টপলির বলে উইকেটে পেছনে বাটলারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ব্যাট হাতে দুই বলে চার রান করেন ডি কক।
দ্রুত উইকেট হারালেও চাপে পড়েনি প্রোটিয়ারা। ডুসেনকে নিয়ে হেনরিকস গড়েন ১২১ রানের দারুণ এক জুটি। মূলত এই জুটিতেই বড় স্কোর গড়ার ভিত পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দলীয় ১২৫ রানের মাথায় ডুসেনের বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। ৬১ বলে ৬০ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এরপর দলীয় ১৬৪ রানে তৃতীয় সাফল্য পায় ইংলিশরা। এবার আদিল রশিদের বলে বোল্ড হন হেনরিকস। ৭৫ বলে ৮৫ করে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তার বিদায়ের পর মার্করামকে নিয়ে জুটি গড়েন হেনরিখ ক্লাসেন। এই জুটিতে আসে ৬৯ রান। এরপর দলীয় ২৩৩ রানে টপলির বলে তুলে মারতে গিয়ে বেয়ারস্টোর হাতে ধড়া পরেন মার্করাম। ৪৪ বলে ৪২ রান করেছেন এই ব্যাটার।
মার্করামের পর আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার ডেভিড মিলারের বিদায় নিতেও সময় লাগেনি। দলীয় ২৪৩ রানে টপলির বলে স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ছয় বলে পাঁচ রান করেন মিলার। মিলারের বিদায়ের পর জেনসেনকে নিয়ে ঝড়ো ব্যাটিং করেন ক্লাসেন। দলীয় ৩৯৮ রানে বিদায় নেওয়ার আগে খেলেন ৬৭ বলে ১০৯ রানের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৫০ ওভারে ৩৯৯/৭ (ডি কক ৪, হেনরিকস ৮৫, ডুসেন ৬০, মার্করাম ৪২, ক্লাসেন ১০৯, মিলার ৫, জেনসেন ৭৫, জেরাল্ড ৩, মহারাজ ১ ; টপলি ৮.৫-০-৮৮-৩, উইলি ৯-১-৬১-০, রুট ৬.১-০-৪৮-০, অ্যাটকিনসন ৯-০-৬০-২, উড ৭-০-৭৬-০, রশিদ ১০-০-৬১-২)