বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই আজ
বিশ্বকাপটা ভালো কাটছে না বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। টানা জয়হীন থাকায় দুদলের কেউই স্বস্তিতে নেই। বাংলাদেশের সেমির স্বপ্ন শেষ হলেও কাগজে-কলমে এখনও টিকে আছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের স্বপ্ন থমকে গেলেও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিশ্চিতে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। সবমিলিয়ে জমজমাট এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ম্যাচ শুরু দুপুর আড়ায়টায়।
পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাকি তিন ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। লক্ষ্য এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা পাওয়া। নতুন নিয়ম অনুযায়ী স্বাগতিক দল পাকিস্তান বাদে বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ সাত দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট পাবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অবস্থান নয় নম্বরে। বাকি তিন ম্যাচের অন্তত দুটিতে জিততে পারলে সেই জায়গায় অবস্থান নিতে পারে বাংলাদেশ।
পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। বিশেষ করে ব্যাটিংটা একেবারেই যাচ্ছেতাই হচ্ছে। যার খেসারত দিতে হয়েছে টানা ৫ ম্যাচ হেরে। আগের দিন র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিল গোটা দল। বাকি ম্যাচগুলোতে জয়ের ধারায় ফিরতে মরিয়া সাকিবরা।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে কথা বলেছি। নিজেদের গ্রুপ মিটিং হয়েছে। আমরা নিজেরা বসেছিলাম, আলোচনা করেছি কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারি, যেখানে আমরা বর্তমানে আছি। আমাদেরকে সেটা মাঠে প্রমাণ করতে হবে। পারফর্ম করতে না পারলে সব কিছুই মূল্যহীন। এজন্য আমাদেরকে মাঠে পারফর্ম করে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। যেন প্রত্যেকে তা দেখতে পারেন।’
বাংলাদেশের মতোই এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের অবস্থান নিচের দিকেই। কাগজে-কলমের জটিল সমীকরণে পাকিস্তানের সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকে থাকলেও সেই সম্ভাবনা ক্ষীণই। তবে বাংলাদেশকে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরতে চায় বাবররা।
ম্যাচের আগের দিন পাকিস্তান কোচ গ্র্যান্ড ব্র্যাডবার্ন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখানকার বাকি নয়টি কোয়ালিফাই করা দলের মতোই একটা। আমাদের তাদের হারানোর দৈব ক্ষমতা নেই। আমরা জানি, এদের ভেতর যে কোনো দলকে হারাতে গেলে ভালো খেলতে হবে। বাংলাদেশের জন্য অনেক বেশি সম্মান আছে আমাদের। তাদের দলে কোয়ালিটি ক্রিকেটার আছে। আমাদের বিশ্বাস তাদের দুর্বলতা বের করে সেটা কাজে লাগাতে পারবো, এটাও জানি তাদের শক্তির জায়গাটা কোথায়।’
অতীত পরিসংখ্যানে পাকিস্তানের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে বাংলাদেশ। ৩৮ ম্যাচের ৩৩টিতেই শেষ হাসি পাকিস্তানের। বিপরীতে বাংলাদেশের জয় মাত্র পাঁচটিতে। ২০১৯ বিশ্বকাপেও বড় ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এমনকি সবশেষ এশিয়া কাপেও জিততে পারেনি লাল-সবুজের দল। তাই বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে হারিয়ে ছন্দে ফেরার।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বরাবরই ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হয়। বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্যাচেও ব্যাটিংবান্ধব উইকেটের দেখা মিলেছিল। তাই এই ম্যাচেও বড় স্কোরের প্রত্যাশা করছেন সমর্থকরা। এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে একাধিক পরিবর্তন আসতে পারে। ব্যর্থতা ভুলে ছন্দে ফেরার চ্যালেঞ্জে কেমন করে বাংলাদেশ, সেটাই এখন দেখার বিষয়।