চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সমীকরণ মেলাতে শনিবার অসিদের মুখোমুখি বাংলাদেশ
বিশ্বকাপ বিবেচনায় সেমি ফাইনালের আর কোনো সম্ভাবনা নেই বাংলাদেশের। সে হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে লড়াইটা সাধারণ দৃষ্টিতে গুরুত্ব হারিয়েছে। অথচ পয়েন্ট টেবিলে আটে থাকা বাংলাদেশকে অবস্থান ধরে রাখতে আগামীকাল শনিবারের (১১ নভেম্বর) ম্যাচের রয়েছে গুরুত্ব। অসিদের হারিয়ে বিজয় অথবা কম ব্যবধানের হার বজায় থাকলে টিকে থাকতে পারে তাদের অবস্থান। আর এতে নিশ্চিত হতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণ। আর সেই সমীকরণ মেলাতে আগামীকাল মাঠে নামছে বাংলাদেশ। যদিও নজর থাকবে ভারত-নেদারল্যান্ডসের খেলায়।
ভুলে যাওয়ার মতো একটা বিশ্বকাপ কেটেছে বাংলাদেশের। ২০০৩ বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচের সবকটিতে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবারের আসরে চোখ রাঙাচ্ছে এক আসরে সবচেয়ে বেশি হারের সম্ভাবনা। এখন পর্যন্ত আট ম্যাচ খেলে দুই জয়ের বিপরীতে হেরেছে ছয়টিতে। হারলে সঙ্গী হবে এক আসরে সবচেয়ে বেশি সাত পরাজয়ের লজ্জা। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কাল বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় অসিদের মুখোমুখি হবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
শেষ ম্যাচে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। চোটের কারণে দেশে ফিরেছেন তিনি। তার পরিবর্তে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়। অসিদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন হাথুরুসিংহে।
হাথুরুসিংহে বলেন, ‘ম্যাচটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা পাওয়ার ব্যাপার আছে। এ ম্যাচে অধিনায়ককে পাচ্ছি না আমরা। সাকিবের মতো একজন না থাকা দলের জন্য ক্ষতি। বিজয়ও অবশ্য খুব অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। সুযোগ পেলে সে ভালো করবে বলে বিশ্বাস করি। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে হলে আমাদের খুব দারুণ ক্রিকেট খেলতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি বলেন, ‘বাংলাদেশ নিজেদের শেষ ম্যাচে বেশ দারুণভাবে জিতেছে। ওরা নিজেদের খেলার উন্নতি করেছে। আমাদের জন্য ম্যাচটি তাই কঠিনই হবে। আমরা আমাদের সহজাত খেলা খেলে যাব। সামনে সেমি ফাইনাল, সেদিকে নজর রাখছি আমরা।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডেতে একবারই জিতেছিল বাংলাদেশ। মোহাম্মদ আশরাফুলের বীরত্বগাঁথায় ২০০৫ সালে অসিদের এসেছিল একমাত্র জয়। এরপর ১৪ বার ওয়ানডেতে মুখোমুখি হলেও কোনোটিতেই জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ স্কোয়াড
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।