রূদ্ধশ্বাস শেষ ওভারে অসিদের হারিয়ে ভারতের শুভসূচনা
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন সাত রান, হাতে পাঁচ উইকেট। শিন অ্যাবটের প্রথম বলে রিঙ্কু সিং চার মেরে কাজটা আরও সহজ করে দেন। পরের বলে এক রান স্ট্রাইকিং প্রান্ত বদল করেন রিঙ্কু। পরের তিন বলে একটি ক্যাচ ও দুটি রান আউটে পড়ে তিন উইকেট হারায় ভারত। জমে ওঠে ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত নো বলে রান নিয়ে ভারতকে জেতান আইপিএলের বিস্ময় রিঙ্কু।
বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের ক্ষত এখনও শুকায়নি ভারতের। এর মধ্যে অভিন্ন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হয়েছে। সিরিজে অধিনায়ক করা হয় সূর্যকুমার যাদবকে। সূর্যকুমার কেন টি-টোয়েন্টির সেরা ব্যাটার, তা প্রমাণ করলেন আরেকবার। টি-টোয়েন্টির এক নম্বর ব্যাটারের ব্যাটে চড়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারায় ভারত। ঘরের মাঠ বিশাখাপত্তমে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) অসিদের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ম্যাচে দুই উইকেটের জয় পায় দলটি।
আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া করে ২০৮ রান। জবাবে ১৯ দশমিক ৫ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২০৯ রান তোলে ভারত।
টস জিতে অসিদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। ৩১ রানে প্রথম উইকেট হারায় অসিরা। রবি বিসনয়ীর বলে ১৩ রান করে বোল্ড হন ম্যাথু শর্ট। এরপর ভারত বোলারদের হতাশ করে দ্বিতীয় উইকেটে ১৩০ রানের জুটি গড়েন স্টিভ স্মিথ ও জস ইংলিশ। ১৬১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় অসিরা। ৪১ বলে ৫২ করে রান আউট হন স্মিথ। তবে, ইংলিশ তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৫০ বলে ১১ চার ও আট ছক্কায় ১১০ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি। আউট হন প্রসিধ কৃষ্ণার বলে। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া থামে ২০৮ রানের বড় সংগ্রহে গিয়ে।
ভারতের পক্ষে বিসনয়ী ও কৃষ্ণা একটি করে উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। দলীয় ২২ রানেই হারায় দুই ওপেনার যশস্বী জাইসওয়াল (২১) ও রুতুরাজ গাইকোয়াড়কে (০)। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ম্যাচে ফেরে ভারত। ইশান কিশান ও সূর্যকুমারের জুটি থেকে আসে ১২২ রান। দলীয় ১৩৪ রানে ব্যক্তিগত ৫৮ রানের মাথায় তানভীর সাঙ্গার বলে আউট হন কিশান। ৪২ বলে ৯ চার ও চার ছক্কায় জেসন বেহেনডর্ফের শিকারে পরিণত হন সূর্যকুমার৷
অধিনায়ক সাজঘরে ফিরলে একটা সময় ভারতের জয়ের সম্ভাবনায় ভাটা পড়ে। শেষ ওভারে শিন অ্যাবটের বলে পরপর তিন বলে একটি ক্যাচ ও দুটি রান আউটে পড়ে তিন উইকেট হারায় ভারত। তবে, ১৪ বলে ২২ রান করে রিঙ্কু সিং ভারতকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। শ্বাসরুদ্ধকর শেষ ওভারে দুই উইকেটের জয়ে সিরিজের শুভসূচনা করে স্বাগতিকরা। পাশাপশি কিছুটা হলেও প্রলেপ দিতে পারে বিশ্বকাপে হারের ক্ষতে।
অসিদের পক্ষে দুই উইকেট নেন তানভীর। একটি করে উইকেট পান অ্যাবোট ও বেহেনডর্ফ।