কিউইদের বড় লিড নিতে দেয়নি বাংলাদেশ
সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে গতকাল বুধবার (২৯ নভেম্বর) ৮৪ ওভারে আট উইকেটে ২৬৬ রান তোলে কিউইরা। বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে ছিল ৪৪ রানে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) তৃতীয় দিনে কিউইদের হয়ে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন কাইল জেমিসন ও টিম সাউদি। নবম উইকেট জুটিতে দুজনের করা ৫২ রান লিড এনে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে।
তবে, লিড পাওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি কিউইরা। পাঁচ বলের ব্যবধানে পার্টটাইম বোলার মমিনুল হকের জোড়া শিকারে অলআউট হয় দলটি। ১০১.৪ ওভারে ৩১৭ রান করে তারা। ম্যাচে তাদের লিড মাত্র সাত রানের।
১০২তম ওভারের প্রথম বলে জেমিসনকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মমিনুল। ২৩ রান করে আউট হন জেমিসন। একই ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিতে ফেরান অধিনায়ক সাউদিকে। ৩৫ রান করা সাউদিকে বোল্ড করে কিউইদের লিড বাড়তে দেননি মমিনুল। থামিয়ে দেন ৩১৭ রানে।
এর আগে গতকাল টম লাথাম ও ডেভন কনওয়ের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৩৬ রান। স্ট্রাইক রোটেট করে খেলা কিউই ওপেনার লাথামকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ফাইন লেগে নাঈম হাসানের ক্যাচে পরিণত হন ২১ রান করা লাথাম। লাথাম ফেরার খানিক বাদে সাজঘরের পথ ধরেন আরেক ওপেনার কনওয়ে। ১২ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হন তিনি। শর্ট ডিফেন্সে শাহাদাত হোসেন দিপুকে সেট করেন মিরাজ। তার হাতেই ক্যাচ দেন কনওয়ে। দুর্দান্ত ডাইভে তা তালুবিন্দি করতে ভুল করেননি দিপু। ৪৪ রান তুলতেই দুই উইকেট হারায় কিউইরা।
দুই উইকেট হারানো কিউইদের হয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ ধরেন উইলিয়ামসন ও নিকোলস। ৫৪ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন তারা। দলীয় ৯৮ রানে নিকোলসকে ফেরান পেসার শরিফুল ইসলাম। ১৯ রান করে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নিকোলস। ১০০ রানের আগে কিউইদের তিন উইকেট হারিয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় পৌঁছায় বাংলাদেশ।
তৃতীয় উইকেট পতনের পর ডেরিল মিচেলকে নিয়ে ৬৬ রানের জুটি গড়েন উইলিয়ামসন। দলীয় ১৬৪ রানে তাইজুল ইসলামের বলে স্ট্যাম্পড হন মিচেল। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৪১ রানের ইনিংস। কিউই ব্যাটার উইলিয়ামসন অর্ধশতক পার করেন দ্বিতীয় সেশনে। ৬৩ ও ৭০ রানে দুবার জীবন পান তিনি। শর্ট লেগে একবার ক্যাচ ছাড়েন তাইজুল ইসলাম, পরেরবার লং অনে ক্যাচ ছাড়েন শরিফুল ইসলাম। দুবারই বোলার ছিলেন নাঈম হাসান। তবে, টম ব্লান্ডেলকে ফিরিয়ে শেষ সেশনের শুরুতেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন নাঈম হাসান। ছয় রান করে উইকেটের পেছনে সোহানের ক্যাচে পরিণত হন ব্লান্ডেল। এক প্রান্ত আগলে রাখা উইলিয়ামসন শেষ পর্যন্ত বোল্ড হন তাইজুল ইসলামের বলে। ১১ চারে ২০৫ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
ইনিংসে মাত্র চার রান দিয়ে তিন উইকেট শিকার করেন মমিনুল। তাইজুল ইসলাম নেন চার উইকেট।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ৩১০ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রথম ইনিংস বাংলাদেশ : ৮৫.১ ওভারে ৩১০/১০
প্রথম ইনিংস নিউজিল্যান্ড : ১০১.৫ ওভারে ৩১৭/১০। (লাথাম ২১, কনওয়ে ১২, উইলিয়ামসন ১০৪, নিকোলস ১৯, মিচেল ৪১, ব্লান্ডেল ৬, ফিলিপস ৪২, জেমিসন ২৩ সোধি ০, সাউদি ৩৫, প্যাটেল ১*; শরিফুল ১৩-২-৫৪-১, মিরাজ ২২-৩-৬৪-১, তাইজুল ৩৯-৯-১০৯-৪, নাঈম ২৪-৩-৭৩-১, মমিনুল ৩.৫-১-৪-৩)।