দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশের দখলে
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। ২৬ রান তুলতেই নেই দুজন। সেখান থেকে দলকে টেনে তুললেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মমিনুল হক। অবিচ্ছিন্ন ৮৫ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে কক্ষপথে ফেরান তারা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৩৮ ওভারে দুই উইকেটে ১১১ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশন শেষ করেছে স্বাগতিকরা। লিড ১০৪ রানের। শান্ত ৪৮ ও মমিনুল অপরাজিত আছেন ৩৮ রানে।
এর আগে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ১৯ রান। নিউজিল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে ছিল ১২ রানে।
দলীয় ২৬ রানের সময় টিম সাউদির ডেলিভারিতে স্ট্রেইট শট খেলেন শান্ত। নিচু হয়ে সাউদি বল আটকাতে চেয়েছিলেন। হাতে আটকেনি সেটি। তবে, শাপেবর হলো কিউইদের জন্য। বল মিস করে আঘাত হানল নন-স্ট্রাইকিং স্ট্যাম্পে। ডেলিভারির সময় ক্রিজ ছেড়ে বের হয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। পেছন ফিরে দাগে ব্যাট ছোঁয়ানোর আগেই ভাঙে স্ট্যাম্প। অনাকাঙ্ক্ষিত রানআউটের শিকার হন জয়। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায় ২৩ রানে। ওপেনার জাকির হাসানকে লেগ বিফোর করেন আজাজ প্যাটেল। ১৭ রান করেন জাকির।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩১০ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে গতকাল বুধবার (২৯ নভেম্বর) আট উইকেটে ২৬৬ রান তোলে কিউইরা। বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে ছিল ৪৪ রানে। আজ তৃতীয় দিনে কিউইদের হয়ে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন কাইল জেমিসন ও টিম সাউদি। নবম উইকেট জুটিতে দুজনের করা ৫২ রান লিড এনে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে।
তবে, লিড পাওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি কিউইরা। পাঁচ বলের ব্যবধানে পার্টটাইম বোলার মমিনুল হকের জোড়া শিকারে অলআউট হয় দলটি। ১০১.৪ ওভারে ৩১৭ রান করে তারা। ম্যাচে তাদের লিড মাত্র সাত রানের।
১০২তম ওভারের প্রথম বলে জেমিসনকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মুমিনুল। ২৩ রান করে আউট হন জেমিসন। একই ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিতে ফেরান অধিনায়ক সাউদিকে। ৩৫ রান করা সাউদিকে বোল্ড করে কিউইদের লিড বাড়তে দেননি মমিনুল। থামিয়ে দেন ৩১৭ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই সাত রানের ব্যবধান ঘুচিয়ে লিড নেয় বাংলাদেশ।