নিউজিল্যান্ডকে ৩৩২ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন শেষ করে সাত উইকেটে ৩০৮ রানে। লিড ৩০১ রানের। নাঈম হাসানকে নিয়ে লিড বড় করার পথে বাংলাদেশের ভরসা হয়ে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু, একপ্রান্তে তিনি অর্ধশতক তুলে অপরাজিত থাকলেও টেলএন্ডাররা পারেননি সুবিধা করতে। শেষ পর্যন্ত সিলেট টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে আজ শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ১০০.৪ ওভারে ৩৩৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। লিড পায় ৩৩১ রানের। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ৩৩২ রান।
বেশ ভালো অবস্থানে থেকে চতুর্থ দিন শুরু করে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দিনের শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারায় দ্রুতই। তিন উইকেটে ২১২ রান নিয়ে সকাল শুরুর পর ২১৪ রানে শান্তকে হারায় বাংলাদেশ। শান্তর পর ১৮ রান করে ইশ সোধির বলে লেগ বিফোর হন শাহাদাত হোসেন দিপু। ২৪৮ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ক্রিজে থাকা মুশফিকুর রহিম নিজের সংগ্রহ বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন। ৬৭ রান করে থামতে হয় তাকে। আজাজ প্যাটেলের বলে তিনিও লেগ বিফোর হন। সপ্তম ব্যাটার হিসেবে গ্লেন ফিলিপসের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নুরুল হাসান সোহান। ১০ রান করেন তিনি।
বাকিটা পথ বাংলাদেশকে টেনে নেন মিরাজ। ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
কিউইদের পক্ষে প্যাটেল চারটি ও সোধি নেন দুই উইকেট।
দিনের তৃতীয় সেশনে এসে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) শতকের দেখা পেয়ে যান শান্ত। তার শতকে চড়ে তিন উইকেটে ২১২ রানে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে তিন অঙ্ক ছুঁতে শান্ত খেলেন ১৯২ বল। হাঁকান ৯টি বাউন্ডারি। অধিনায়কত্বের অভিষেকেই সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার শান্ত।
যদিও, দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। প্রথম উইকেট হারায় ২৩ রানে। ওপেনার জাকির হাসানকে লেগ বিফোর করেন আজাজ প্যাটেল। ২৬ রানের সময় টিম সাউদির ডেলিভারিতে স্ট্রেইট শট খেলেন শান্ত। নিচু হয়ে সাউদি বল আটকাতে চেয়েছিলেন। হাতে আটকেনি সেটি। তবে, শাপেবর হলো কিউইদের জন্য। বল মিস করে আঘাত হানল নন-স্ট্রাইকিং স্ট্যাম্পে। ডেলিভারির সময় ক্রিজ ছেড়ে বের হয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। পেছন ফিরে দাগে ব্যাট ছোঁয়ানোর আগেই ভাঙে স্ট্যাম্প। অনাকাঙ্ক্ষিত রানআউটের শিকার হন জয়।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মমিনুল হক। ৯০ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে কক্ষপথে ফেরান তারা। ৪০ রান করে রানআউটে কাটা পড়েন মমিনুল। এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে শেষ সেশনের বাকি সময় নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন শান্ত। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৯৬ রানের জুটি বাংলাদেশকে এনে দেয় লিড।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩১০ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে ১০১.৪ ওভারে ৩১৭ রান করে নিউজিল্যান্ড। ইনিংসে লিড পায় মাত্র সাত রানের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রথম ইনিংস বাংলাদেশ : ৮৫.১ ওভারে ৩১০/১০
প্রথম ইনিংস নিউজিল্যান্ড : ১০১.৫ ওভারে ৩১৭/১০
দ্বিতীয় ইনিংস বাংলাদেশ : ১০০.৪ ওভারে ৩৩৮/১০। (জয় ৮, জাকির ১৭, শান্ত ১০৫, মমিনুল ৪০, মুশফিক ৬৭, দিপু ১৮, মিরাজ ৫০*, সোহান ১০, নাঈম ৪, তাইজুল ০, শরিফুল ১০; সাউদি ১৫-৩-৩৩-১, জেমিসন ১৩-৩-২৫-০, প্যাটেল ৩৬.৪-১-১৪৮-৪, ফিলিপস ১৬-৪-৪৭-১, সোধি ১৯-২-৭৪-২, মিচেল ১-০-২-০)