রান তাড়ায় শুরুতে এলোমেলো কিউইরা
সিলেট টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে আজ শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ১০০.৪ ওভারে ৩৩৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। লিড পায় ৩৩১ রানের। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ৩৩২ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়েছে কিউইরা। ৩০ রান তুলতেই কিউইদের তিন উইকেটের পতন ঘটে। দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষ করে ১৭ ওভারে তিন উইকেটে ৩৭ রান নিয়ে।
বাংলাদেশকে প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেন পেসার শরিফুল ইসলাম। ফেরান ওপেনার টম লাথামকে। রানের খাতা খোলার আগেই উইকেটের পেছনে নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচে পরিণত হন তিনি। প্রথম ইনিংসে কিউইদের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন কেন উইলিয়ামসন। দ্বিতীয় ইনিংসে তাকে থামতে হয় ১১ রানে। তাইজুল ইসলামের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে লেগ বিফোর হন উইলিয়ামসন। বাংলাদেশ পায় দ্বিতীয় সাফল্যের দেখা।
দলীয় ৩০ রানে আবারও বাংলাদেশের আঘাত। এবার দৃশ্যপটে মেহেদী হাসান মিরাজ। শর্ট ফাইন লেগে নাঈম হাসানের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন হেনরি নিকোলসকে। দুই রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। বিপর্যয়ে পড়া কিউইদের হয়ে হাল ধরার চেষ্টা করছেন ডেভন কনওয়ে ও ডেরিল মিচেল।
এর আগে বেশ ভালো অবস্থানে থেকে চতুর্থ দিন শুরু করে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দিনের শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারায় দ্রুতই। তিন উইকেটে ২১২ রান নিয়ে সকাল শুরুর পর ২১৪ রানে শান্তকে হারায় বাংলাদেশ। শান্তর পর ১৮ রান করে ইশ সোধির বলে লেগ বিফোর হন শাহাদাত হোসেন দিপু। ২৪৮ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ক্রিজে থাকা মুশফিকুর রহিম নিজের সংগ্রহ বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন। ৬৭ রান করে থামতে হয় তাকে। আজাজ প্যাটেলের বলে তিনিও লেগ বিফোর হন। সপ্তম ব্যাটার হিসেবে গ্লেন ফিলিপসের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নুরুল হাসান সোহান। ১০ রান করেন তিনি। বাকিটা পথ বাংলাদেশকে টেনে নেন মিরাজ। ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ অলআউট হয় ৩৩৮ রানে। কিউইদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩২ রান।