মুশফিকের অদ্ভুদ আউটের ব্যাখা দিল আইসিসি
ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে অদ্ভুত এক আউট হলেন মুশফিকুর রহিম। ক্রিকেট ইতিহাসে এই ধরনের আউট আগেও হয়েছেন ব্যাটাররা। আগে এই আউটের নাম 'হ্যান্ডলিং দ্য বল' থাকলেও এখন এটিকে 'অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড' আউট হিসেবে বিবেচিত হয়। মুশফিকের এমন অদ্ভুত আউটের ব্যাখা দিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
বাংলাদেশের ইনিংসের ৪১তম ওভারে কাইল জেমিসনের বল ডিফেন্ড করেছিলেন মুশফিক। বল যাচ্ছিল স্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়ে। কিন্তু কী বুঝে বলটি থামাতে চাইলেন এই ব্যাটার। তাতেই সর্বনাশ। আউটের আবেদন করেন নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। এরপর থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে আউট।
ছেলেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২তম ব্যাটার হিসেবে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’আউট হলেন মুশফিক। টেস্টে ক্রিকেটে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে। ১৯৫১ সালে ওভাল টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম এভাবে আউট হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ওপেনার লেন হাটন।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) আইসিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে মুশফিকের আউটের বিস্তারিত কারণ জানানো হয়েছে।
আইনের ৩৭.১১ ধারা মতে, ব্যাটার যদি বল খেলার মধ্যে থাকাকালে ইচ্ছাকৃতভাবে কথা বা কাজের মাধ্যমে ফিল্ডিং দলকে বাধা দেন কিংবা মনোযোগ নষ্ট করেন, তবে আউট হবেন। তবে ৩৭.২ ধারা মতে, চোট থেকে বাঁচতে এমন কিছু করলে ব্যাটার আউট হবেন না।
৩৭.১২ ধারা অনুসারে, বোলার বল করার পর ব্যাটার যদি যে হাতে ব্যাট ধরা নেই সেই হাত দিয়ে বলে আঘাত করেন বা ছুঁয়ে সরিয়ে দেন তবে আউট ঘোষিত হবেন। সেটি প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা আরও পরে ছোঁয়ার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বল খেলার সময় যেমন তেমনি ব্যাটার কিংবা নন স্ট্রাইকার ব্যাটার উইকেট বাঁচানোর চেষ্টা করার সময়েও এই আইন প্রযোজ্য।