পাঁচ বছর পর ওয়ানডেতে সৌম্যর সেঞ্চুরি
নেলসনে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ৪৪ রানের মাঝে তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে সফরকারীরা। তবে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ক্রিজে টিকে ছিলেন লম্বা সময় পর দলে ফেরা সৌম্য সরকার। দারুণ ব্যাটিংয়ে তুলে নিয়েছেন ওয়ানডেতে নিজের তৃতীয় শতক। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন সৌম্য।
আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বর) নেলসনে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে অ্যাডাম মিলনের বলে স্লিপে লাথামের হাতে ধরা পড়েন এনামুল হক বিজয়। গত ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করলেও এই ম্যাচে ১২ বল খেলে দুই রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
বিজয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ৩৬ রানের মাথায় ডাফির লাফিয়ে ওঠা বলে নিকোলসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৯ বল খেলেও ছয় রানের বেশি করতে পারেননি শান্ত। এরপর আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার লিটন দাসও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। দলীয় ৪৪ রানের মাথায় ডাফির বলে তুলে মারতে গিয়ে ইয়ংয়ের হাতে ধরা পড়েন লিটন। ১১ বল খেলে ছয় রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
লিটনের পর দলীয় ৮০ রানের মাথায় রান আউট হয়ে ফেরেন হৃদয়। ১৬ বলে ১২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর চাপ সামলে মুশফিককে নিয়ে দারুণ জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন সৌম্য। দলীয় ১৭১ রানে মুশফিক বিদায় নিলেও সৌম্য আশা না হারিয়ে মিরাজকে নিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন।
এরপর ১১৬ বলে তিন অঙ্কের কোটায় পৌঁছান সৌম্য। যদিও ৯২ রানে একবার জীবন পেয়েছিলেন। নিউজিল্যান্ড সফরের দলে সৌম্যর জায়গা পাওয়া নিয়েও কম সমালোচনা হয়নি। আজ সেই সমালোচনার জবাব দিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। প্রায় সাড়ে ৪ বছর পর অর্ধশতক ছুঁয়ে এই ইনিংসটিকে এবার শতকে রূপ দিলেন তিনি। এই সেঞ্চুরি করতে অবশ্য ভাগ্যের সহায়তাও পেয়েছেন সৌম্য। ব্যক্তিগত ৫১ ও ৯২ রানের সময় জীবন পেয়েছেন তিনি।