আবারও মুখোমুখি আইসিসি-খাজা
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার উসমান খাজাকে নিয়ে আইসিসির বিরোধ যেন থামছেই না। ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে জুতায় ‘স্বাধীনতা একটি মানবাধিকার, প্রতিটি জীবনের মূল্য সমান’—লেখা বাক্য নিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, পাকিস্তানের বিপক্ষে গত ১৪ ডিসেম্বর শুরু হওয়া পার্থ টেস্টে তাকে এই জুতো পরে নামার অনুমতি দেয়নি আইসিসি।
অবশ্য থেমে থাকেনি খাজার প্রতিবাদ। অসি এই তারকা টেস্টের দিন মাঠে নামেন কালো আর্মব্যান্ড পরে। সেটি নিয়েও আপত্তি আইসিসির। কারণ, খাজা এ ব্যাপারে আইসিসির অনুমিত নেননি। যদিও, ক্রিকেটে কালো আর্মব্যান্ড পরে মাঠা নামা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কোনো দুর্ঘটনা, কারও শোকে খেলোয়াড়রা সবাই কালো আর্মব্যান্ড পরে নামেন। সেটি আইসিসির অনুমতি সাপেক্ষে।
আইসিসির নাখোশ হওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন খাজা। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোতে আজ শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, আইসিসির বিরুদ্ধে আবারও সরব হয়েছেন খাজা। তার মতে, তিনি ক্রিকেট মাঠের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কিছু করেননি।
খাজা বলেন, ‘আমি আইসিসির নিয়মকানুনকে শ্রদ্ধা করি। আমি তাদের জিজ্ঞেস করেছি এবং অনুমতিও চেয়েছি। আমি চেয়েছি, আমার পক্ষ থেকে যেভাবে সম্ভব মানবতার পাশে থাকতে। এমনকি আমি কোনো ধর্মকেও টেনে আনিনি। আমি আমার জায়গায় সৎ ও স্বচ্ছ। আইসিসির সঙ্গে আমি এ ব্যাপারে বসব।’
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর একটি বিশেষ জুতা পরে অনুশীলনে নামেন খাজা। কিন্তু আইসিসির নিয়মানুযায়ী, সংস্থাটির অনুমতি ছাড়া কোনো ক্রিকেটার বা ম্যাচের দায়িত্বরত কর্মকর্তা কোনো ধরনের বার্তাসংবলিত পোশাক, খেলার সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারবেন না।
সে প্রসঙ্গে এক ভিডিওবার্তায় খাজা বলেছিলেন, ‘আমি কোনো আইন ভাঙিনি। স্বাধীনতা একটি মানবিক অধিকার। মানবাধিকারের পক্ষে আওয়াজ তুলেছি। আইসিসি যদি এটিকে ভিন্ন চোখে দেখে, সেটি তাদের ব্যাপার। আমার জুতায় যা লিখেছি, সেটি কোনোভাবেই রাজনৈতিক নয়। আমি কারও পক্ষ নেইনি। আমার কাছে প্রতিটি প্রাণের মূল্য আছে। হোক সে ইহুদি, মুসলিম, হিন্দু কিংবা অন্য ধর্মের। ফিলিস্তিনে অসংখ্য শিশু প্রাণ হারাচ্ছে। যখন দেখি, আমার দুই মেয়ের কথা ভাবি। তারা সেখানে থাকলে কী হতো!’