ঐতিহাসিক জয়ে বাংলাদেশের যত রেকর্ড
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে ওয়ানডেতে প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ। সেটি এসেছে দলগত পারফরম্যান্সের অনন্যতায়। নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে আজ শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) শরিফুল-সৌম্যদের বোলিং তোপে ৩১.৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৯৮ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে বিজয়-শান্তদের ব্যাটে ১৫.১ ওভারে মাত্র এক উইকেটে হারিয়ে জয় তোলে বাংলাদেশ। ৯ উইকেট ও ২০৯ বল বাকি রেখে ঐতিহাসিক এক জয় তুলে নেয় সফরকারীরা।
এই জয়ে রেকর্ডের খাতায় বেশকিছু অদলবদল এনেছে বাংলাদেশ। ইতিহাসগড়া ম্যাচে রেকর্ড যেন পূর্ণতা দিল। এ দিন নিউজিল্যান্ডকে ৯৮ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রতিপক্ষকে একশর নিচে অলআউট করল বাংলাদেশ। এর আগে ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ে ও ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একশর কমে থামায় অলআউট করে বাংলাদেশ। তবে, আজকের ম্যাচটির বিশেষত্ব অন্য জায়গায়। দেশের বাইরে এবারই প্রথম প্রতিপক্ষকে শতরানের আগে গুড়িয়ে দিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের পেস আক্রমণ ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। এক সময়ের স্পিননির্ভর বাংলাদেশ এখন ভরসা রাখতে পারে পেসারদের ওপরও। পেসাররা আস্থার প্রতিদান দিলেন আরেকবার। আজকের ম্যাচে কিউইদের ১০ উইকেটের সবগুলোই নিয়েছেন পেসাররা। শরিফুল, সৌম্য ও তানজিম সাকিব নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। মুস্তাফিজ পেয়েছেন একটি। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে দ্বিতীয়বারের মতো ইনিংসে সবগুলো উইকেট নিয়েছেন পেসাররা। এর আগে চলতি বছরের মার্চে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পেসাররা ১০ উইকেট নিয়েছিলেন। সে ম্যাচে হাসান মাহমুদের ফাইফারের পাশাপাশি তাসকিন তিনটি ও ইবাদত নেন দুই উইকেট। এখানেও আজকের ম্যাচ অনন্য। দেশের বাইরে এবারই প্রথম এক ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন পেসাররা।
আজকের ম্যাচে ৯৮ রানে অলআউট হয়েছে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতেই এটিই কিউইদের সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে সর্বনিম্ন ছিল ১৬২ রান। তা ছাড়া, ২০০৭ সালের পর নিজেদের মাটিতে একশর নিচে অলআউট হয়নি কিউইরা। বাংলাদেশ আজ সেই লজ্জাও দিয়েছে তাদের।