দাপট দেখিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেল খুলনা
আগে ব্যাট করে ফরচুন বরিশাল যখন প্রায় ২০০ ছুঁই ছুঁই সংগ্রহ গড়ে, ম্যাচের শেষটা হয়ত তখনই দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। তবে, টি-টোয়েন্টিতে শেষের আগে শেষ বলে কিছু নেই। বরিশালের পাহাড়সম লক্ষ্য অনায়াসে টপকে গেল খুলনা টাইগার্স। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বরিশালকে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হারাল খুলনা৷ দাপুটে এই জয়ে টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল দলটি।
আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান তোলে বরিশাল। জবাবে ১৮ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান করে খুলনা। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয় তুলে দুই ওভার হাতে থাকতেই, মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে।
লক্ষ্যটা বিশাল। শুরু থেকেই তাই খুলনাকে হতে হতো আগ্রাসী৷ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম পাওয়ার প্লেতে বরিশালের বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে খুলনা৷ অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও এভিন লুইসের ওপেনিং জুটিতে ৫.৩ ওভারে আসে ৭৭ রান। ২২ বলে ৫৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন লুইস। ২৪০.৯০ স্ট্রাইক রেটে খেলা ইনিংসটি সাজানো ছিল সমান পাঁচটি করে চার ও ছক্কায়। মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানিয়ে লুইসকে ফেরান মোহাম্মদ ইমরান।
দ্বিতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বিজয় গড়েন ৭৫ রানের জুটি। দলীয় ১৫২ রানে মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দি হন আফিফ। এবারও জুটি ভাঙেন ইমরান। সাজঘরে ফেরার আগে আফিফ করেন ৩৬ বলে ৪১ রান। ম্যাচের বাকিটা পথ শাই হোপকে নিয়ে নির্বিঘ্নে পার করেন বিজয়। ১০ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন হোপ। আর ক্যাপ্টেন্স নক খেলা বিজয় অপরাজিত থাকেন ৪৪ বলে ৬৩ রানে। তার ইনিংসে চার ও ছয়ের মার সমান তিনটি করে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকা বিজয় দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে হারিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় বরিশাল। দলীয় ১৪ রানের মাথায় থমাসের বলে হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ১১ রান।
জাদরানের বিদায়ের পর সৌম্য সরকারকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এই জুটিতে আসে ৪৬ রান। দলীয় ৬০ রানের মাথায় সৌম্যর বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ১০ বলে ১৭ রান করে রানআউট হন সৌম্য।
সৌম্যর বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে জুটি গড়েন তামিম। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৫৭ রান। দলীয় ১১৭ রানে বিদায় নেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ৩৩ বলে ৪০ রান করে ফেরেন তামিম। অধিনায়ক তামিমের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন মুশফিক। ৩৯ বলে পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কায় ৬৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেজে আসে ১৯ বলে ২৭ রান। এই দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় স্কোরবোর্ডে ১৮৭ রান তোলে বরিশাল। যদিও, জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি এই রান।