ঢাকাকে গুঁড়িয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে খুলনা
সিলেটের যে উইকেটে ধুঁকেছে ঢাকার ব্যাটাররা, সেখানেই রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছে খুলনা। ঢাকার ইনিংস দেখার সময় যেখানে মনে হচ্ছিল ব্যাটিং করা ভীষণ কষ্টসাধ্য, খুলনার ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে—এ পিচ বুঝি ব্যাটারদেরই। দুরন্ত ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত ঢাকাকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। ঢাকার ছুঁড়ে দেওয়া ১৩১ রানের লক্ষ্য ১৪.৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে টপকে যায় এনামুল হক বিজয়ের দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩০ রান করে ঢাকা। জবাবে ১৪.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ১৩১ রান তোলে খুলনা।
সীমিত লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঝড়ো শুরু করে খুলনা। প্রথম বলেই তাসকিন আহমেদকে ছক্কা মেরে ইনিংস শুরু করেন বিজয়। বিজয় ও এভিন লুইসের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫০ রান। ১৩ বলে তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় ২৬ রান করেন লুইস। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে চোটের কারণে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন লুইস। লুইস মাঠ ছাড়লেও রানের চাকা ছুটতেই থাকে খুলনার।
আফিফ হোসেনকে নিয়ে ম্যাচের পরের পথটুকু রাঙিয়ে তোলেন বিজয়। তুলে নেন অর্ধশতক। বিজয়-আফিফের অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটিতে জয়ের উচ্ছ্বাসে মাতে খুলনা। ৪৮ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক বিজয়। জয়সূচক রানটিও আসে তার ব্যাট থেকে। আফিফের ব্যাট থেকে ২৭ বলে একটি চার ও তিনটি ছক্কায় আসে ৩৭ রান।
এ জয়ে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলে সবার শীর্ষে উঠল খুলনা। চার ম্যাচে চার জয়ে দলটির পয়েন্ট আট। আসরে এখন পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দল তারা।
এর আগে টস জিতে সিলেটের স্পোর্টিং উইকেটে সুবিধা করতে পারেনি ঢাকা। ওপেনিং ছিল ছন্দময়। তবে, ধরে রাখতে পারেননি ঢাকার পরবর্তী ব্যাটাররা। তাই, দারুণ শুরুর পরেও ঢাকা থেমে যায় অল্প রানে।
দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও সায়েম আইয়ুব মিলে ৯ ওভারে ৭৫ রান তোলেন। সেখান থেকে দলীয় ৭৫ রানে নাঈম ও ৭৭ রানে আইয়ুব সাজঘরে ফিরলে রানের চাকা থেমে যায় ঢাকার। ২১ বলে দুটি চার ও চারটি ছক্কায় ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নাঈম।
নাঈমকে ফিরিয়ে খুলনাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন আফিফ। তাকে এভিন লুইসের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন। দাসুন শানাকার বলে বিজয়ের স্ট্যাম্পিং হওয়া আইয়ুব করেন ৩৭ বলে ৩৫ রান। এরপর ঢাকার হয়ে ব্যাট হাতে হাল ধরতে পারেননি কেউই। গুলবাদিন নাইব, মেহেরাব ও ইরফান শুক্কুর—তিনজনই আউট হন তিন রান করে। বিপদে ঠেলে দেন দলকে।
মাঝে অ্যালেক্স রসের ১৪ বলে ২১ রানের ক্যামিওতে শতরান পার করতে পারে ঢাকা। শেষ পর্যন্ত ঢাকা পায় ১৩০ রানের সংগ্রহ।
খুলনার পক্ষে চার ওভারে ১৫ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। দুটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ ওয়াসিম ও মুকিদুল ইসলাম।