মাশরাফীর সিলেটের টানা পঞ্চম হার!
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অন্যতম সফল অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তাকে দলে ভিড়িয়ে শুরু থেকেই এগিয়ে থাকার ছক কষেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঢাকায় টানা দুই হারের পর, সিলেটপর্বে এসেছিল জয়ের খোঁজে। সিলেটেও টানা তিন ম্যাচ শেষে জয় অধরাই রয়ে গেল। চলতি বিপিএলে পাঁচ ম্যাচ খেলে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি সিলেট। টানা পঞ্চম ম্যাচে অভিন্ন নিয়তি, পরাজয়ের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সিলেট।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) মাশরাফীর সিলেট মুখোমুখি হয় ফরচুন বরিশালের। বরিশালের কাছে ম্যাচ হারে ৪৯ রানের ব্যবধানে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় সিলেট। আগে ব্যাট করে তামিম ইকবালের বরিশাল ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে। জবাবে ১৭.৩ ওভারে ১৩৭ রানে অলআউট হয় সিলেট।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। তৃতীয় ওবারেই আউট হন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। সাত বলে ৯ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের স্পিনে খেই হারিয়ে মুশফিকুর রহিমের হাতে স্ট্যাম্পড হন। আরেক ওপেনার শামসুর রহমান করেন ২৩ বলে ২৫ রান। তাকে ফেরান মোহাম্মদ ইমরান।
ওয়ানডাউনে নামা জাকির হোসেন চেষ্টা করেছিলেন দলের হাল ধরতে। তবে, তার ৩৪ বরে ৪৬ রানের ইনিংসে কখনোই মনে হয়নি ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে সিলেট। তাকেও ফেরান ইমরান। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে সিলেটের ব্যাটিং লাইনআপ। বেনি হাওয়েলের ১৯ বলে ২৪ রান কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে।
দলের সবচেয়ে বড় তারকা মাশরাফী এদিন পরিচয় দেন চূড়ান্ত ব্যর্থতার। বোলিং করেননি নিজে। ব্যাটিংয়ে শুরুর দিকে নেমে তিন বলে মাত্র দুই রান করে পরিণত হন খালেদ আহমেদের শিকারে।
বরিশালের পক্ষে ৩.৩ ওভারে ২৯ রান দিয়ে চার উইকেট শিকার করেন ইমরান। দুটি করে উইকেট পান মিরাজ ও খালেদ।
এর আগে ব্যাটিংয়ে বরিশালের শুরুটাও ভালো হয়নি। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক তামিম। আট বলে মোটে দুই রান করে নাঈম হাসানের বলে লেগ বিফোর হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। আরেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদ অবশ্য ছিলেন ছন্দময়। ৪১ বলে ৬৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। বরিশালের পক্ষে ম্যাচে সর্বোচ্চ রানও এটি। ৯টি চার ও দুটি ছক্কায় সাজানো শেহজাদের ইনিংসটি থামে বেনি হাওয়েলের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে।
তারকায় ঠাসা দল বরিশালের হয়ে ভালো করতে পারেননি সৌম্য সরকার ও মুশফিক। ১৭ বলে ২০ করেন সৌম্য, মুশফিক করেন ১৯ বলে ২২ রান। দুজনই পরিণত হন হাওয়েলের শিকারে। তবে, অসাধারণ এক ইনিংস উপহার দেন মাহমুদউল্লাহ। তার ঝড়ো ফিফটিতে বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় বরিশাল। ২৩ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে সাতটি চার ও দুটি ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। পাঁচ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।
সিলেটের পক্ষে চার ওভারে ২১ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন হাওয়েল। একটি করে উইকেট পান নাঈম ও রিচার্ড এনগারাভা।