চট্টগ্রামকে উড়িয়ে কুমিল্লার তৃতীয় জয়
লক্ষ্যটা মাত্র ৭৩ রানের, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যেকোনো দলের জন্য যা বেশ সহজ। বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দৃঢ়তায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে আসরে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬ দশমিক তিন ওভারে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৭২ রান তোলে চট্টগ্রাম। জবাবে ৯ দশমিক দুই ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় কুমিল্লা।
সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল কুমিল্লা। তবে দলীয় ১৪ রানের মাথায় অধিনায়ক লিটনের বিদায়ে প্রথম ধাক্কা খায় দলটি। চলতি বিপিএলে রানখরা অব্যাহত এই ডানহাতি ব্যাটারের। ৯ বল খেলেও দুই রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
লিটনের বিদায়ের পর সাজঘরে ফেরেন আরেক ব্যাটার মহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দলীয় ২৫ রানে দুই উইকেট হারালেও রিজওয়ান-তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে জয়ের ভিত গড়ে ফেলে কুমিল্লা। দলীয় ৬৬ রানের মাথায় হৃদয়ের বিদায়ে তৃতীয় উইকেট হারায় দলটি। ১৩ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন এই ডানহাতি ব্যাটার। রেইফারকে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন রিজওয়ান।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি চট্টগ্রামের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় দলটি। রেইমন রেইফারের বলে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। দুই বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তামিম।
শুরুর ধাক্কা সামলে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় চট্টগ্রাম। আভিষ্কা ফার্নান্দোকে সঙ্গে নিয়ে জুটি করেন টম ব্রুস। যদিও এ জুটি খুব একটা লম্বা হয়নি। দলীয় ২১ রানের মাথায় তানভীর ইসলামের বলে খুশদিল শাহ এর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। ৯ বলে সাত রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর মাত্র ২৭ রানের ব্যবধানে আরও তিন উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।
সবমিলিয়ে দলীয় ৪৮ রানের মাথায় পাঁচ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে চট্টগ্রাম। পরের ব্যাটারটা অবশ্য সেই চাপ কিছুটা সামলালেও ভালো সংগ্রহ গড়তে পারেননি। ৭২ রানে থামে চট্টগ্রামের ইনিংস।