খুলনাকে হারিয়ে বরিশালের অবিশ্বাস্য জয়
খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে শেষ ওভারে জয়ের জন্য বরিশালের প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। ম্যাচের এমন রুদ্ধশ্বাস জয়ের মুহূর্তে নিজেদের জাত চেনালেন শোয়েব মালিক ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দুই বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তারা। যা চলতি আসরে বরিশালের তৃতীয় জয়।
আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আট উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৫৫ রান তোলে খুলনা। জবাবে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৯.৪ ওভারে ১৫৬ রানে থামে বরিশাল। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন শোয়েব মালিক।
১৫৬ রানের মাঝারি সংগ্রহে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বরিশালের। দলীয় সাত রানের মাথায় আহমেদ শেহজাদের উইকেট হারায় দলটি। তিন বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটার। শুরুর চাপ সামলে তামিমকে নিয়ে জুটি গড়েন সৌম্য সরকার। এই জুটিতে যোগ হয় ২৭ রান। দলীয় ৩৪ রানের মাথায় তামিমের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ১৮ বলে ২০ রান করে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
তামিমের বিদায়ের পর মুশফিককে সঙ্গী করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার কাজ করেন সৌম্য। এই জুটিও খুব একটা বড় হয়নি। দলীয় ৬০ রানের মাথায় সৌম্যর বিদায়ে তৃতীয় উইকেট হারায় বরিশাল। ২৩ বলে ২৬ রান আসে সৌম্য এর ব্যাট থেকে।
তার বিদায়ের পর মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। মুশফিক ২৭ ও মাহমুদউল্লাহ চার রান করে বিদায় নেন। শেষদিকে, মিরাজ ও শোয়েব মালিক জুটিতে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে বরিশাল। শেষমেশ তাদের হাত ধরেই জয় নিশ্চিত হয় বরিশালের।
এর আগে, ব্যাট হাতে এদিন সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক বিজয়। দলীয় ১৬ রানের সময় ব্যক্তিগত ১২ রানে আকিফ জাবেদের বলে বোল্ড হন। আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন অবশ্য ভালো করেছেন। ২৪ বলে ৩৩ রানের ইনিংসটি আশা জাগানিয়া ছিল। তবে, শোয়েব মালিকের বলে লেগ বিফোর হয়ে ফেরেন তিনি।
ইনিংসের মাঝের সময়টুকুতে খুলনার ব্যাটারদের রানের চাকায় লাগাম দেয় বরিশালের বোলাররা। দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা। শেষ দিকে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ২৩ বলে ৩৮ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। খুলনার ইনিংস দেড়শ ছাড়ায় মূলত ফাহিম আশরাফের কল্যাণে। ব্যাট হাতে ঝড় বইয়ে দেন তিনি। মাত্র ১৩ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৩২ রান করে শেষ বলে রান আউট হন তিনি। খুলনা পায় ১৫৫ রানের সুবিধাজনক সংগ্রহ।
বরিশালের পক্ষে চার ওভারে ২৪ রান খরচায় দুই উইকেট নেন শোয়েব মালিক। দারুণ বল করেছেন তাইজুল ইসলাম। তিন ওভারে মাত্র সাত রান দিয়ে তার শিকার দুটি।