তাসকিনের ঢাকার বিপক্ষে দাপুটে জয় তামিমের বরিশালের
মিরপুরের উইকেট নিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের পাশাপাশি ক্রিকেটারদের অভিযোগের অন্ত নেই। বিপিএলের বেশিরভাগ ম্যাচ এই মাঠে অনুষ্ঠিত হলেও প্রত্যাশিত রানের দেখা মেলে না। এবারের ঢাকা পর্ব অন্তত সেই আক্ষেপ মিটিয়েছে। প্রতিটি ম্যাচই ছিল রান বন্যার। সেই ধারাবাহিকতায় এবার মাহমুদুল্লাহ- সৌম্যর কল্যাণে ঢাকাকে উড়িয়ে দাপুটে জয় পেল তামিমের বরিশাল।
আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৮৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় বরিশাল। জবাবে, ১৯.৪ বলে ১৪৯ রানে থামে ঢাকা। ৪০ রানের জয়ে শেষ চারে যাওয়ার পথটা আরও সহজ করল বরিশাল।
১৯০ রানের বড় লক্ষ্যের বিপরীতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ঢাকার। দলীয় ছয় রানের মাথায় ওপেনার সাব্বির হোসেনের উইকেট হারায় দলটি। আট বলে পাঁচ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর ঢাকার আর কোন ব্যাটার নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানে থামে ঢাকা। দলটির হয়ে ৩০ বলে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন এলেক্স রস।
এর আগে, দুই ওপেনার আহমেদ শেহজাদ ও তামিম ইকবালের ব্যাটে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেয় বরিশাল। যদিও বড় হয়নি জুটি। দলীয় ১৬ রানের মাথায় অধিনায়ক তামিম ইকবালের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল। তাসকিনের বলে রসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম। আউটের আগে করেন চার বলে চার রান।
তামিমের বিদায়ের পরের ওভারেই ফেরেন শেহজাদ। আউটের আগে আট বলে করেন ১০ রান। একই ওভারে ফেরেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। তিন বলে মাত্র এক রান করেন। মুশফিকের বিদায়ের পর সৌম্যকে নিয়ে জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ১৩৯ রান। দারুণ ব্যাটিং করে দলীয় ১৫৮ রানের মাথায় বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ। খেলেন ৪৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংস।
এরপর শোয়েব মালিককে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন সৌম্য। এই দুইজনের মারকুটে ব্যাটিংয়ে ১৮৯ রানে থামে বরিশাল। ৪৯ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন সৌম্য। ঢাকার হয়ে শরিফুল ও তাসকিন দুটি করে উইকেট নেন।