এশিয়ান ফুটবলের রাজত্ব রইল কাতারের কাছেই
একদিকে ইতিহাস গড়ে প্রথমবার ফাইনালে জর্ডান, অন্যদিকে কাতারের সামনে সুযোগ ইতিহাসে নাম লেখানোর। এমন প্রেক্ষাপটে আইকনিক লুসাইল স্টেডিয়ামে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিক কাতার ও জর্ডান। জর্ডানের দুর্দান্ত যাত্রা থামিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিল কাতার।
তিন পেনাল্টির ম্যাচে জর্ডানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা ঘরে তুলল স্বাগতিকরা। এশিয়ান কাপে পঞ্চম দল হিসেবে টানা দুই শিরোপা জিতে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাল কাতার। এর আগে এমন অর্জন ছিল— ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও সৌদি আরবের।
শক্তিমত্তা, স্বাগতিক হওয়ার সুবিধা, কর্তমান চ্যাম্পিয়ন— সবকিছু বিবেচনায় এগিয়ে ছিল কাতার। ম্যাচে তারা খেলেছেও সেরার মতোই। আক্রমণাত্মক ফুটবলে জর্ডানকে ছিটকে দেয় ম্যাচ থেকে। এক আকরাম আফিফের আক্রমণেই ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে জর্ডানের রক্ষণভাগ। হিমশিম খেয়ে তিনবার ডি-বক্সে ফা্উল করে কাতারের ফুটবলারদের।
ম্যাচে তিনটি পেনাল্টি পায় কাতার। তিনটি সুযোগই কাজে লাগায় দলটি। তিন গোলই আসে আফিফের স্পটকিক থেকে। পেনাল্টি থেকেই হ্যাটট্রিক করেন এই তারকা। আসরে সর্বোচ্চ আট গোলের মালিকও আফিফ।
জর্ডান চেষ্টা করেনি তা নয়। কয়েকটি সুযোগও পেয়েছিল তারা। কোনোটি বারে লেগে প্রতিহত হয়, আরেকটি একদম বারপোস্ট ঘেঁষে যায়। দলের পক্ষে একমাত্র গোলটি আসে ইয়াজান আল-নিয়ামতের পা থেকে। জর্ডানকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় রানার্সআপ হয়েই।