রান পাহাড়ে চড়ে কুমিল্লার ইতিহাস গড়া জয়
আগে ব্যাট করে বিপিএলের দলীয় সর্বোচ্চ রান তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ম্যাচ মূলত সেখানেই শেষ। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স চেষ্টা করেছে রান তাড়া করার, গিয়েছেও অনেকটা পথ। কিন্তু, কাজের কাজ কিছু হয়নি। বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে আজ বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাগতিকদের ৭৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে কুমিল্লা।
আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান করে কুমিল্লা। জবাবে ১৬.৩ ওভারে ১৬৬ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রামের শুরুটাও হয় দারুণ। জস ব্রাউন ও তানজিদ তামিমের ওপেনিং জুটিতে আসে ৮০ রান। তামিম ২৪ বলে ৪১ রান এবং ব্রাউন ২৩ বলে ৩৬ রান করেন। এরপর টানা কয়েক উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।
দলকে আবার ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন সৈকত আলী। ১১ বলে ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম। কুমিল্লার হয়ে সমান চারটি করে উইকেট নেন মঈন আলী ও রিশাদ হোসেন।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৩৯ রান তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। যা যৌথভাবে বিপিএলে এখন পর্যন্ত দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। আগেরটি রংপুর রাইডার্সের, ২০১৯ সালে তারাও ২৩৯ রান করেছিল।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার লিটন দাস ও উইল জ্যাকসের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় কুমিল্লা। মারকুটে ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে ৮৬ রান তুলে ফেলেন তারা। দলীয় ৮৬ রানের মাথায় শহিদুল ইসলামের বলে কার্টিস ক্যাম্ফারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৬০ রান।
লিটনের বিদায়ের এক বল পরই ফেরেন গত ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো তাওহিদ হৃদয়। রানের খাতাই খুলতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার। এরপর ব্রুক গেস্টকে নিয়ে চাপ সামাল দেন জ্যাকস। এই জুটিতে যোগ হয় ২৫ রান। দলীয় ১১১ রানের মাথায় গেস্টের বিদায়ে তৃতীয় উইকেট হারায় দলটি। ১১ বলে ১০ রান করেন এই ব্যাটার। এরপর মঈন আলীকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহে এনে দেন জ্যাকস। ৫০ বলে পূরণ করেন সেঞ্চুরি। জ্যাকস ১০৮ ও মঈন ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।