হৃদয় জাদুতে বিজয়ের খুলনাকে উড়িয়ে দিল কুমিল্লা
এবারের বিপিএলে শুরুটা ভালো হয়নি গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। পরাজয় দিয়ে আসর শুরু করলেও ছন্দে ফিরতে সময় লাগেনি বিপিএলের সবচেয়ে সফল দলটির। ঢাকা, সিলেটের পর চট্টগ্রামেও ছুটছে কুমিল্লার জয়রথ। তাওহিদ হৃদয়ের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে বিজয়ের খুলনাকে উড়িয়ে চলতি আসরে সপ্তম জয়ের দেখা পেল কুমিল্লা।
আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আট উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৬৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় খুলনা। জবাবে ১৬.৩ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় লিটনের দল। ব্যাট হাতে ৪৭ বলে সর্বোচ্চ ৯১ রান করেন তা্ওহিদ হৃদয়।
১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। দলীয় তিন রানের মাথায় অধিনায়ক লিটন দাসের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। তিন বলে দুই রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন। তার বিদায়ের পর তাওহিদ হৃদয়কে নিয় জুটি গড়ে উইল জ্যাকস। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৪১ রান।
দলীয় ৪৪ রানের মাথায় জ্যাকসের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ১০ বলে ১৮ রান করে ফেরেন জ্যাকস। এরপর জনসন চালর্সকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন হৃদয়। তবে এই জুটিও খুব একটা বড় হয়নি। দলীয় ৮৪ রানের মাথায় বিদায় নেন চালর্স। আট বলে ১৩ রান করে ফেরেন তিনি। পরবর্তীতে জাকের আলিকে নিয়ে অসাধারণ এক জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন হৃদয়। ৩১ বলে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন জাকির।
ব্যাট হাতে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দেন দুই ওপেনার অ্যালেক্স হেলস ও আফিফ হোসেন। এই দুইজনের ৩২ রানের জুটি ভাঙে হেলসের বিদায়ে। ফোর্ডের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন হেলস। আউটের আগে করেন ১৭ বলে ২২ রান। এরপর অধিনায়ক বিজয়কে নিয়ে ফের জুটি গড়েন হেলস। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৩৭ রান।
দলীয় ৬৯ রানের মাথায় বিজয়ের বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় খুলনা। ১৩ বলে ১৮ রান আসে এই ডানহাতি ব্যাটারের ব্যাট থেকে। বিজয়ের বিদায়ের পর দ্রুতই ফেরেন আরেক ব্যাটার আফিফ হোসেন। ৩৩ বলে ২৯ আসে এই বাঁহাতি ব্যাট থেকে।
এরপর মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন এভিন লুইস। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৫৭ রান। দলীয় ১২৮ রানের মাথায় জয়ের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ১৯ বলে ২৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। জয়ের বিদায়ের পর লুইসও বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। দলীয় ১৩৯ রানের মাথায় ফেরেন তিনি। আউটের আগে করেন ২০ বলে ৩৬ রান। শেষমেশ ১৬৪ রানে থামে খুলনা।