রংপুরের টানা সপ্তম জয়
রংপুর রাইডার্সের জয়রথ ছুটছেই। বিপিএলে টানা সপ্তম জয় তুলে নিল সাকিব আল হাসানের দল। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মাঠে নেমেছে রংপুর রাইডার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। চট্টগ্রামকে ১৮ রানে হারিয়ে শীর্ষস্থান আরও পাকা করেছে রংপুর।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় রংপুর। ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান করে দলটি। জবাবে ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানে থামে চট্টগ্রাম।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রামের হাত থেকে ম্যাচ ফসকে যায় শুরুতেই। স্কোরবোর্ডে ৩২ রান উঠতেই তিন উইকেট হারায় তারা। দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও জস ব্রাউন ব্যর্থ হন ভালো রান করতে। তামিম ১৩ ও ব্রাউন ফেরেন চার রান করে। ওয়ানডাউনে নামা সৈকত আলির ব্যাট থেকে আসে ৯ রান।
৩২ রানে তিন উইকেট হারানো চট্টগ্রামকে এরপর আর জয়ের লড়াইয়ে পাওয়া যায়নি। মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের ছোট ছোট সংগ্রহ কিছুটা থিতু করে চট্টগ্রামকে। টম ব্রুস সাজঘরে ফেরেন ২৪ রান করে। অধিনায়ক শুভাগত হোম করেন ২১ রান। রোমারিও শেফার্ড শেষ দিকে হাত খুলে খেলেন। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। ঝড়ো ইনিংস খেললেও রংপুরের জয়ের পথে তিনি হুমকি হতে পারেননি। যদিও তার ৩০ বলে পাঁচটি চার ও ছয়টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংসটি শেষ দিকে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল।
রংপুরের পক্ষে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস চার ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচায় তিন উইকেট শিকার করেন। শেখ মেহেদি পান দুই উইকেট।
আগে ব্যাটিংয়ে নামা রংপুরকে ওপেনিংয়ে মাঝারি শুরু এনে দেন রনি তালুকদার ও রেজা হেনড্রিকস। ৩৩ রানের জুটির পর আউট হন রনি। ১৯ বলে ২৫ রান করে বোল্ড হন শহিদুল ইসলামের বলে। রেজাকে লেগবিফোর করেন শেফার্ড। তার ব্যাট থেকে আসে চার রান। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান করেন পাঁচ রান।
তবে, রংপুরকে টেনে নিয়ে যান সাকিব ও শেখ মেহেদি। গত ম্যাচের মতো আজও হেসেছে দুজনের ব্যাট। ৩৩ বলে অর্ধশতক তুলে নেন সাকিব। ৩৯ বলে ৬২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১৫৮.৯৭ স্ট্রাইক রেটে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কায়। শেফার্ডের বলে তামিমের তালুবন্দি হন সাকিব। মেহেদির ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান। ২০০ স্ট্রাইক রেটে ১৭ বলে চারটি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। বোল্ড হন বিলাল খানের বলে।
শেষ দিকে শামীম হোসেনের ৯ বলে ১৭ রানের ক্যামিওতে রান দলীয় সংগ্রহ ১৮০ পার করে রংপুর।
চট্টগ্রামের পক্ষে চার ওভারে ২৭ রান দিয়ে তিন উইকেট পান শেফার্ড। দুই উইকেট নেন সালাউদ্দিন শাকিল।