হার দিয়ে আসর শেষ করল তাসকিনের ঢাকা
বিপিএলের চলতি আসর হতে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে দুর্দান্ত ঢাকার। সুযোগ ছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে সান্ত্বনার জয় দিয়ে আসর শেষ করার। তবে, সেই চ্যালেঞ্জেও ব্যর্থ তাসকিন-মোসাদ্দেকরা। স্বাগতিক চট্টগ্রামের কাছে হারল ঢাকা। যা চলতি আসরে দলটির ১১তম হার।
আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৫৯ রান তোলে চট্টগ্রাম। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন তানজিদ তামিম। জবাবে ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানে থামে ঢাকা। ১০ রানের জয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে ওঠে গেল চট্টগ্রাম।
১৬০ রানের মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ঢাকার। দলীয় ৯ রানের মাথায় অ্যাডাম রসিংটোনের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ছয় বলে এক রান করে বিদায় নেন এই ব্যাটার। এর পরের বলেই সাব্বির হোসেনের উইকেট হারায় দলটি। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে ঢাকা।
পরবর্তীতে মোহাম্মদ নাঈম ও অ্যালেক্স রসের ব্যাটে চাপ সামাল দেয় ঢাকা। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৫১ রান। দলীয় ৬০ রানের মাথায় নাঈমের বিদায়ে তৃতীয় ধাক্কা খায় ঢাকা। ৩৫ বলে ২৯ করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। এরপর শন উইলিয়াসকে নিয়ে জুটি গড়েন রস। এই জুটিও খুব একটা বড় হয়নি। দলীয় ৮৯ রানের মাথায় উইলিয়ামসের বিদায়ে চতুর্থ উইকেট হারায় দলটি। এরপর শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটে লড়াই করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
এর, আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চট্টগ্রামের। ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় দলটি। মোসাদ্দেকের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সৈকত আলী। তার বিদায়ের পর শুরুর চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তানজিদ হাসান তামিম ও জস ব্রাউন। যদিও এই জুটি বড় হয়নি।
দলীয় ২৪ রানের মাথায় তাসকিনের বলে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্রাউন। ১৪ বলে ১১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর টম ব্রুসকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন ওপেনার তানজিদ তামিম। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৯৫ রান। দলীয় ১১৯ রানের মাথায় ব্রুসের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ৩৫ বলে ৪৮ রান করেন এই ব্যাটার। এরপর রোমারিও শেফার্ড ও শুভাগত হোমকে নিয়ে জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান তানজিদ তামিম।