বিপিএলের প্লে-অফ লড়াই : কার সামনে কী সমীকরণ
জমে উঠেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্লে-অফে ওঠার লড়াই। ইতোমধ্যে শেষ চার নিশ্চিত করেছে সাকিবের রংপুর রাইডার্স ও লিটনের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বাকি দুটি স্থানের জন্য লড়াইয়ে ফরচুন বরিশাল, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্স। যে জটিল সমীকরণ মেলালে প্লে-অফের টিকিট মিলবে বাকি দুই দলের, তা জেনে নেওয়া যাক।
বিপিএলের পয়েন্টস টেবিলের শীর্ষে আছে রংপুর রাইডার্স। ১১ ম্যাচের মধ্যে ৯টিতে জয় পেয়েছে সাকিবরা। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ দুইয়ে থাকা নিশ্চিত করে ফেলেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। নিজেদের শেষ ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারালেই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকেই লিগ পর্ব শেষ করবে রংপুর।
পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থেকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে। এখনও দুটি ম্যাচ বাকি রয়েছে দলটির। বরিশাল ও রংপুরের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ সেই ম্যাচগুলোতে জিততে পারলে শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করার সুযোগ থাকবে লিটনদের।
১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে তামিমের বরিশাল। শেষ চার নিশ্চিত করতে নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় পাওয়াটা জরুরি তামিমদের। কারণ হারলেই পড়তে হবে রানরেটের জটিল সমীকরণে। তবে, স্বস্তির খবর খুলনা টাইগার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের তুলনায় রানরেটে অনেকটাই এগিয়ে বরিশাল।
চট্টগ্রামের জন্য আজকের ম্যাচ ডু অর ডাই। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে জিতলেই নিশ্চিত হবে প্লে-অফ। তা না হলে, খুলনার শেষ ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। সেখানেও স্বস্তি নেই চট্টগ্রামের। রানরেটে খুলনাকে টপকে যেতে অসাধ্য এক কাজই করতে হবে তাদের। চট্টগ্রাম যদি নিজেদের ম্যাচে হেরে যায়, তবে খুলনাকে সিলেটের কাছে ১৩৯ রানের ব্যবধানে হারতে হবে। তা না হলে, খুলনা ম্যাচ হেরেও চলে যাবে প্লে-অফে।
চট্টগ্রামরে মতো স্বস্তিতে নেই খুলনা টাইগার্সও। সরাসরি প্লে-অফে নিশ্চিতে শেষ দুই ম্যাচে জয়ের খুব একটা বিকল্প নেই খুলনার। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে হেরে গেলে খুলনা টাইগার্সের প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে যাবে। কারণ, নিজেদের শেষ ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারালেও তাকিয়ে থাকতে হবে বরিশাল-কুমিল্লা ম্যাচের দিকে। বরিশাল সেই ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে গেলেও নেট রান রেটে বরিশালকে পেছনে ফেলার খুব একটা সম্ভাবনা নেই খুলনার।
এদিকে, পরিবর্তন এসেছে প্লে-অফের সূচিতেও। ২৫ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে এলিমিনেটর ও প্রথম কোয়ালিফায়ার একদিন পিছিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আর ২৭ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ২৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। রিজার্ভ ডে বাড়াতেই এমন উদ্যোগ। তবে আগের ঘোষণা অনুযায়ী ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১ মার্চ।