খুলনাকে হারিয়ে প্লে-অফে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স
জিতলেই প্লে-অফের টিকিট। হারলে বাদের শঙ্কা। এমন সমীকরণের ম্যাচে নিজেদের কাজটা ব্যাটিংয়ে আগেই সেরে রাখে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তানজিদ হাসান তামিমের সেঞ্চুরিতে স্কোরবোর্ডে জমা করে শক্ত পুঁজি। যা টপকানো তো দূরে, ধারে কাছেও যেতে পারেনি খুলনা টাইগার্স। ফলাফল চট্টগ্রামের কাছে হেরে বিদায়ের পথে খুলনা। আর স্বস্তির জয়ে চট্টগ্রাম পেল প্লে-অফের টিকিট।
বিপিএলের ৩৯তম ম্যাচে খুলনাকে ৬৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। দলের হয়ে সেঞ্চুরি করে তানজিদ তামিমই ম্যাচ সেরার নায়ক।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী আহমেদ স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৯২ রান তোলে চট্টগ্রাম। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ১১৬ রান করেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
জবাব দিতে নেমে ১২৭ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা। বড় রান তাড়ায় শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল খুলনা। দলীয় ১৩ রানেই বিদায় নেন পারভেজ হোসেন ইমন। এনামুল হক বিজয় ও শাই হোপ মিলে জুটি গড়েও থিতু হতে পারেননি। এই জুটি ভাঙলেই মুখ থুবড়ে পড়ে খুলনার ইনিংস।
ব্যাটারদের নিয়মিত উইকেট হারানোর মিছিলে লড়াই জমাতে পারেনি খুলনা। থমকে যায় অল্পতে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন বিজয়। আর শাই হোপ করেন ২১ বলে ৩১ রান।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করেনি চট্টগ্রাম। দলীয় চার রানের মাথায় মোহাম্মদ ওয়াসিমের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। অবশ্য, সৈকত আলীকে সঙ্গে নিয়ে সেই চাপ ভালোভাবে সামাল দেন তামিম। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৫৬ রান।
দলীয় ৬০ রানের মাথায় সৈকতের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ১৭ বলে ১৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর টম ব্রুসকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন তামিম। এই দুইজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের ভিত পায় চট্টগ্রাম। মাঝে ৫৮ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নেন তানজিদ। দলীয় ১৭০ রানের মাথায় ৬৫ বলে ব্যক্তিগত ১১৬ রানে ফেরেন এই ব্যাটার। তার বিদায়ে ভাঙে ৬১ বলে ১১০ রানের জুটি। অবশ্য তানজিদ ফিরলেও শেফার্ডকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন ব্রুস। শেষ পর্যন্ত ১৯২ রানে থামে চট্টগ্রাম। ২৩ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন ব্রুস।