বাংলাদেশের সামনে শ্রীলঙ্কার রান পাহাড়
খেলার মধ্যেই ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। পার্থক্য কেবল, সেটি ঘরোয়া লিগ, আর এখন খেলছেন আন্তর্জাতিক ম্যাচ। বিপিএলের ব্যস্ততা শেষ করে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা নেমেছেন বছরের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ মাঠে নামে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
কিন্তু মাঠে নেমে বল হাতে ভালো কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে স্বাগতিকদের ২০৭ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ২০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান তোলে দলটি।
টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। শরিফুল ইসলামের করা প্রথম বলেই চার মারেন অভিষেক ফার্নান্দো। দ্বিতীয় বলে তাকে তুলে নেন বাঁহাতি এই পেসার। ফার্নান্দোকে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেনে শরিফুল। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৩ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপদ সামাল দেন কুশল মেন্ডিস ও কামিন্দু মেন্ডিস। ৩৭ রানে কামিন্দুকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়ার আগে ১৪ বলে ১৯ রান করেন কামিন্দু।
এরপর বাংলাদেশকে হতাশার তিক্ততা দেন কুশল ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। দুজনের ৯৬ রানের জুটিতে খেই হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। ৩৬ বলে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৯ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন কুশল। তাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। রিশাদের লেগ স্পিনে কাত হয়ে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ তুলে দেন কুশল। আরেকপ্রান্ত আগলে রেখে অর্ধশতক তুলে নেন সামারাবিক্রমা। ৪৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করা সামারাবিক্রমা অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে আট চার ও এক ছয়ে ৬১ রানে।
তাকে সঙ্গ দেন লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। ২১ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ইনিংসে কোনো চারের মার ছিল না, হাঁকিয়েছেন ছয়টি ছক্কা।
বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে উইকেট পান শরিফুল, তাসকিন ও রিশাদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
শ্রীলঙ্কা : ২০ ওভারে ২০৬/৩ (ফার্নান্দো ৪, কুশল ৫৯, কামিন্দু ১৯, সামারাবিক্রমা ৬১* , আসালাঙ্কা ৪৪*; শরিফুল ৪-০-৪৯-১ , তাসকিন ৪-০-৪০-১, শেখ মেহেদি ৩-০-৩০-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৪২-০ , রিশাদ ৪-০-৩২-১, সৌম্য ১-০-৮-০)।