মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে টিকে আছে বাংলাদেশ
প্রথম পাওয়ার প্লেতে এলোমেলো বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। ৩০ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ। শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন তিনি। প্রথ বলেই ছক্কা হাঁকান। তার আগ্রাসনের বিপরীতে শান্ত ছিলেন মন্থর। ২২ বলে ২০ রান করে মাথিশা পাথিরানার শর্ট বল ওপরে সোজা ব্যাটে ওপরে তুলে দেন শান্ত।
শান্তর সহজ ক্যাচ লুফে নিতে কষ্ট হয়নি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের। ৬৮ রানে পতন হয় বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেটের। শান্ত ফিরে গেলে অভিষিক্ত জাকের আলি অনিককে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। প্রায় ২০০ স্ট্রাইক রেটে রানের ফুলঝুরি ছোটাচ্ছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ২০ বলে পার করেন ৪০ রানের ঘর। ২৭ বলে পূর্ণ করেন অর্ধশতক। বাংলাদেশের দলগত সংগ্রহও ছাড়িয়েছে শতরানের ঘর।
পাওয়ার প্লেতে এলোমেলো বাংলাদেশ
বল হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বাংলাদেশি বোলাররা। সিলেটের ব্যাটিং পিচে টস জিতে বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল শান্তর। যার খেসারত দিতে হয়েছে স্বাগতিকদের। বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য ২০৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বিশাল রান তাড়ায় ব্যাট হাতেও ব্যর্থ টপ অর্ডার।
ওপেনার লিটন দাসের কাছে প্রত্যাশা ছিল ভালো শুরু এনে দেওয়ার। কিন্তু, রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। প্রথম ওভারেই ম্যাথুসের বলে কুশল মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন লিটন। তিন বলে শূন্য রানে ফেরেন। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও পারেননি চাপ সামাল দিতে। ১১ বলে ১২ রান করে বিনুরা ফার্নান্দোর বলে লঙ্কা অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কার হাতে ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য। ২১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা তাওহিদ হৃদয়ের ওপর চোখ ছিল সবার। সেই ফর্ম টেনে আনতে পারলেন না ম্যাচে। তাকেও ফেরান ম্যাথুস, ক্যাচ নেন কুশল। ৩০ রানে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশের প্রথম পওয়ার প্লে কেটেছে ভয়াবহ।