সিরিজ জয়ের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে বাংলাদেশের বড় লক্ষ্য
একটি বল বেশি পেলে হয়তো সেঞ্চুরিটা হয়ে যেত তাওহিদ হৃদয়ের। শেষ দুই বলে দুটো ছক্কা হাঁকালেও শতক থেকে চার রান দূরে থামেন তিনি। তবে, তার দুরন্ত ইনিংসে বাংলাদেশ পায় লড়াকু পুঁজি।
শুরুটা প্রথম ম্যাচের মতোই নড়বড়ে। লিটনের মন্দ ব্যাটিংয়ে হতাশা বাংলাদেশ শিবিরে। সেটি স্থায়ী হতে দেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার, দুজন মিলে গড়ে দিলেন শক্ত ভিত। বাকিটা টানলেন হৃদয়।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে আজ শুক্রবার (১৫ মার্চ) মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২৮৬ রান করে স্বাগতিকরা।
আগে ব্যাটিং করতে নেমে আজও শুরুটা হয়েছে ছন্নছাড়া। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। দিলশান মাদুশাঙ্কার বলে দুনিথ ভেল্লালাগের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শান্ত ও সৌম্য মিলে সামাল দেন পরিস্থিতি। এই জুটিতে আসে ৭৫ রান। খনই আঘাত হানেন লঙ্কান বোলার দিলশান মাদুশাঙ্কা। উইকেটের পেছনে কুশল মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়ার আগে শান্ত করেন ৩৯ বলে ৪০ রান।
শান্ত ফিরে গেলেও হৃদয়কে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়েন সৌম্য। দুজন মিলে ৫৫ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। এর মধ্যে ওয়ানডেতে নিজের ১২তম অর্ধশতক তুলে নেন সৌম্য। শেষ পর্যন্ত ১১ চার ও একটি ছক্কায় ৬৬ বলে ৬৮ রানে থামে তার ইনিংস। ওয়ানিন্দু হাসারাঙার বলে মাদুশাঙ্কার ক্যাচে পরিণত হন সৌম্য। এই ম্যাচে দেশের হয়ে অনন্য এক রেকর্ড গড়েন সৌম্য। বাংলাদেশের জার্সিতে ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম ম্যাচে দুই হাজার রান এখন তার।
আগের ম্যাচে দলের জয়ের অন্যতম দুই নায়ক মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম এদিন ব্যর্থ হন। শূন্য রানে আউট হন মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকের ব্যাট থেকে অবশ্য ২৫ রান আাসে। স্কোরবোর্ডে রান ২০০ জমা হওয়ার আগেই ছয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজও ১২ রান করে ফিরে গেলে শঙ্কা জাগে অল্পতে অলআউট হওয়ার। তবে, নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফসেঞ্চুরি তুলে বাংলাদেশকে কক্ষপথে রাখেন হৃদয়। লোয়ার অর্ডারকে নিয়ে একটু একটু করে বাড়ান রানের গতি।
হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ১০২ বলে ৯৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তার অপরাজিত ইনিংসটি সাজানো ছিল তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কায়। ১০ বলে ১৮ রানে ক্যামিও ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তাসকিন আহমেদ।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে চার উইকেট শিকার করেন হাসারাঙা। দুই উইকেট পান মাদুশাঙ্কা, প্রমোদ নেন একটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ২৮৬/৭ (লিটন ০, সৌম্য ৬৮, শান্ত ৪০, মাহমুদউল্লাহ ০, মুশফিক ২৫, মিরাজ ১২, হৃদয় ৯৬*, সাকিব ১৮, তাসকিন ১৮* ; মাদুশাঙ্কা ৬.৪-১-৩০-২, প্রমোদ ৯-০-৭২-১, কুমারা ৮-০-৫০-০, লিয়ানাগে ৪.২-০-৩০-০, আসালাঙ্কা ২-০-১০-০, ভেল্লালাগে ১০-০-৪৭-০, হাসারাঙা ১০-১-৪৫-৪)