জোড়া ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দাপুটে বোলিংয়ে। শরিফুল ইসলাম-তাসকিন আহমেদরা যার যার প্রধম ওভারেই পেয়েছিলেন উইকেট। রান ৫০ ছোঁয়ার আগে তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় শ্রীলঙ্কা। তবে, সেই বিপদ সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। পাথুম নিশাঙ্কা ও চারিথ আসালাঙ্কার অর্ধশতকে ম্যাচে এখনও টিকে আছে তারা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে নিশাঙ্কা ও আসালাঙ্কা মিলে ইতোমধ্যে ৯০ রান পার করেছেন। লঙ্কানদের দলীয় সংগ্রহ ১৩০ ছাড়িয়েছে। অপরাজিত আছেন দুজনই।
তাসকিন-শরিফুলের বোলিংয়ে শুরুতেই চাপে শ্রীলঙ্কা
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বোলিং করতে এলেন তাসকিন আহমেদ। নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই ফেরান কুশল মেন্ডিসকে। যিনি আউট হওয়ার আগে খেলছিলেন আগ্রাসী ঢংয়ে। পাঁচ ওভার শেষ হতে স্কোরবোর্ডে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪২ রান। তাসকিন থামালেন রানের চাকা। লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসকে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তিনি। ১৩ বলে ১৬ রান আসে কুশলের ব্যাট থেকে। পরের ওভারেই এক রান করা সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের চাপে ফেলেন শরিফুল ইসলাম। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তার ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪২ রান তুলতেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে লঙ্কানরা।
এর আগে প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন শরিফুল ইসলাম। সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন ফার্নান্দো।
সিরিজ জয়ের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে বাংলাদেশের বড় লক্ষ্য
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে আজ শুক্রবার (১৫ মার্চ) মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২৮৬ রান করে স্বাগতিকরা।
আগে ব্যাটিং করতে নেমে আজও শুরুটা হয়েছে ছন্নছাড়া। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। দিলশান মাদুশাঙ্কার বলে দুনিথ ভেল্লালাগের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শান্ত ও সৌম্য মিলে সামাল দেন পরিস্থিতি। এই জুটিতে আসে ৭৫ রান। খনই আঘাত হানেন লঙ্কান বোলার দিলশান মাদুশাঙ্কা। উইকেটের পেছনে কুশল মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়ার আগে শান্ত করেন ৩৯ বলে ৪০ রান।
শান্ত ফিরে গেলেও হৃদয়কে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়েন সৌম্য। দুজন মিলে ৫৫ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। এর মধ্যে ওয়ানডেতে নিজের ১২তম অর্ধশতক তুলে নেন সৌম্য। শেষ পর্যন্ত ১১ চার ও একটি ছক্কায় ৬৬ বলে ৬৮ রানে থামে তার ইনিংস। হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ১০২ বলে ৯৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তার অপরাজিত ইনিংসটি সাজানো ছিল তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কায়। ১০ বলে ১৮ রানে ক্যামিও ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তাসকিন আহমেদ।